/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/09/mufti-1.jpg)
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আর কত দিন এ ভাবে বন্দি করে রাখা হবে? জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ও কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি রয়েছেন পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
বেআইনি ভাবে তাঁর মাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ মেহেবুবা মুফতি কন্যা ইলতিজার। আদালতের সামনে মেহবুবাকে পেশ করে যাতে তাঁর বন্দিদশা নিয়ে বিচার শুরু করা যায় তার জন্য শীর্ষ আদালতে হেবিয়াস কর্পাস আবেদন জমা দিয়েছিলেন ইলতিজা। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত শুনানিতেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
এ দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, 'কাউকে চিরকাল বন্দি করে রাখা যায় না। সরকারের কাছে জানতে চাই, ঠিক কত দিন পর্যন্ত এই বন্দিদশা চলতে পারে। সর্বোচ্চ কত দিন পর্যন্ত এক জনকে আটকে রাখা যায়? আপনারা কী চান?'
ইলতিজা আদালতে জানান, এর আগে শর্তসাপেক্ষে মুফতিকে মুক্তি দিতে রাজি ছিল সরকার। বন্ডে সাক্ষরের কথা বলা হয়েছিলিল, যেখানে উল্লেখ, জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কোনও রকম রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না, কোথাও কোনও ভাষণ দেবেন না এবং কোনও সমাবেশে অংশ নেবেন না। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়াতেই মেহবুবাকে আটকে রাখা হয়েছে। মেহবুবা যাতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন, ইলতিজা সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতির বন্দিদশার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করে তাঁর উপর জন নিরাপত্তা আইন লাগু করা হয়। এই আইনের বলে বিনা বিচারে যে কাউকে এক বছর পর্যন্ত বন্দি করে রাখা যায়। আবার সেই বন্দির আচরণ, পরিস্থিতি বিবেচনা করেবিনা বিচারে দু’বছর পর্যন্তও আটক করে রাখা যায়। উল্লেখ্য, একই কারণে জম্মু-কাশ্মীরের বাকি দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা সহ উপত্যকার বহু রাজনীতিককে বন্দি করা হয়। চলতি বছরের গোড়ার দিক থেকে ফারুক, ওমর-সহ অনেককেই মুক্তি দেওয়া হয়। তবে, এখনও বন্দি করে রাখা হয়েছে মেহবুবা মুফতিকে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন