বুধবার গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীত্ব। অস্বস্তিতে বাড়িয়ে বৃহস্পতিবারই আদালতের সমন হাজির মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বাড়িতে। নির্বাচনী হলফনামায় নিজের বিরুদ্ধে চলা দু'টি ফৌজদারী মামলার কথা উল্লেখ না করায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছে নাগপুরের একটি আদালত। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা শুরুর পক্ষে মত দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তথ্য গোপন করেছিলেন ফড়নবীশ।
চলতি মাসের ৪ তারিখ আদালত সমন জারি করে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় ফড়নবীশকে। তাহলে এতদিন পরে কেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই সমন পৌঁছানো হল? উত্তরের সদর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর মহেশ বানসোদে বলেন, 'সাধারণত পরবর্তী মামলার শুনানির তিন-চার দিন আগে এই সমন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আগেই পুলিশ নাগপুরের হাদ্রাবাদ সচিবালয়ে ওই সমন পাঠিয়েছিল। কিন্তু, তখন তা বন্ধ ছিল। তাই ত্রিকোনী পার্কের বাড়িতে ফড়নবীশের কাছে এবার আদালতের সমন পৌঁছে দেওয়া হল।'
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলায় এবার নয়া নিয়ম
১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ সালে ফড়নবীশের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তখন চার্জ গঠন হয়নি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের হলফনামায় এই মামলা দু'টির কথা উল্লেখ করেননি ফড়নবীশ। এই বিষয়টিকে সামনে এনে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সতীশ উকে।
প্রথমে এই নিয়ে নাগপুরের প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সতীশ উকে। কিন্তু, ২০১৫ সালে তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরে দায়রা আদালতে ওই আইনজীবীর আর্জি গৃহীত হয়। কিন্তু, ২০১৮ সালে খোদ ফড়নবীশের দায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। থেমে না গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মমলা করেন ওই আইনজীবী। এবছর ১-লা অক্টোবর এক রায়ে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেকে মামলাটি ফের শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নিম্ন আদালতে মামলা শুরু হয়।
Read the full story in English