জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ নিয়ে প্রথম হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পিটিশনের সাপেক্ষে এই হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয় যে, বিবিধ আইনের জেরে দেশের জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হচ্ছে। আর তার জেরেই এই হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, একাধিক আইন দেশের জাতীয় ঐক্যকে কেড়ে নিচ্ছে। ফলে দেশে ঐক্যের প্রশ্নে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সংবিধানের ৪৪ নং ধারার অধীনে রয়েছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড। এই নিয়মে বলা হয়েছে, জাতি, লিঙ্গের বৈষম্য কাটিয়ে একটি অভিন্ন আইন হতে পারে ডিভোর্স, বিয়ে , দত্তক গ্রহণ-সহ কয়েকটি বিষয়ে। এর আগে, ইউনিয়ন সিভিল কোড নিয়ে একাধিক পিটিশনের সাপেক্ষে কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থান জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়, আদালত সংসদকে কোনও আইন তৈরি বা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না।
সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা অশ্বনী উপাধ্যায়ের তিনটি আলাদা পিটিশনের জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অশ্বনী উপাধ্যায় পিটিশনে দাবি করেছিলেন যে উত্তরাধিকারী নির্ধারণের নিয়ম, বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ম এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার নিয়ম সব ধর্মের জন্য একই করা উচিত। এই আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে তিনটি পৃথক হলফনামা দাখিল করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলফনামায়, কেন্দ্রীয় সরকার অভিন্ন সিভিল কোড তৈরির জন্য এই তিনটি জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে আদালত সংসদকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিতে পারে না। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাও খারিজের আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে, ইউনিয়ন সিভিল কোড নিয়ে একাধিক পিটিশনের সাপেক্ষে কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর মোদী সরকার নিজের অবস্থান জানিয়েছে।
বর্তমানে ‘পারসোনাল ল' হল এমন একটি আইন, যা ধর্ম ও লিঙ্গের বৈষম্যের ভিত্তিতে আলাদা। উল্লেখ্য, দেশে বহু ধর্মের মানুষের আলাদা ‘পারসোনাল ল’রয়েছে। তাঁরা সেই বিশেষ আইনের এর নিরিখে জীবনযাপন করেন। সেই জায়গা থেকেই গোটা দেশে অভিন্ন ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু কথা বলছে কেন্দ্র। তাদের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, একাধিক আইন এদেশের জাতীয় ঐক্যকে কেড়ে নিচ্ছে। ফলে সেই জায়গা থেকে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কী বলা হয়েছে এই নিয়মে? এই নিয়মে বলা হয়েছে, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গের বৈষম্য কাটিয়ে একটি অভিন্ন আইন হতে পারে ডিভোর্স, বিয়ে , দত্তক গ্রহণ সহ কয়েকটি বিষয়ে।