সরকারি মতের বিরোধিতা করলেই সেটা দেশদ্রোহিতা নয়। বুধবার এমন মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি খারিজ করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে দায়ের কর মামলা। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং হেমন্ত গুপ্তা বলেছেন, ‘সরকারি মতের বিরুদ্ধাচরণ করলেই সেটা দেশদ্রোহিতা নয়।‘ কেন্দ্র ২০১৯-এর অগাস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করেছে সংবিধানের বিশেষ ৩৭০ ধারা। সেই পদক্ষেপের বিরধিতা করে সরব হয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফারুক আবুদল্লা। তাঁর সেই সরব হয়ার মধ্যে ‘দেশদ্রোহিতা’র ইঙ্গিত পেয়ে সুপ্রিম করতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে এদিন এই মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের।
এদিকে, গত ৫ অগাস্ট ২০১৯ থেকে গৃহবন্দি ছিলেন ফারুক আবদুল্লা-সহ উপত্যকার অন্য রাজনৈতিক কর্মীরা। ওমর আবদুল্লা এবং অপর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও করে রাখা হয়েছিল গৃহবন্দি। যদিও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। তাঁর আগে গত বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছেন ফারুক পুত্র ওমর আবদুল্লা।
এদিকে সম্প্রতি টুলকিট-কাণ্ডে ধৃত দিশা রবির জামিন মামলায় একই কথা বলেছে দিল্লির এক আদালত। দেশদ্রোহিতা-সহ একাধিক মামলায় দিশা রবিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই মামলায় তরুণী পরিবেশকর্মীকে জামিন দিয়ে আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা উল্লেখ করেন যে দিশা রবির “কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল না”। দিশা রবিকে এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এবং দুটি জামিনে মঞ্জুর করা হয়। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিশাকে তিন দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে, পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে ছিলেন দিশা।
ঠিক কী কী নির্দেশ দিয়েছিল আদালত-
- নাগরিকরা যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের বিবেকের রক্ষাকারী। তারা রাজ্যের নীতিগুলির সঙ্গে একমত না হলে তাঁদের জেলে ঢোকানো যেতে পারে না।
- তদন্তকারী সংস্থাকে প্রত্যাশার ভিত্তিতে নাগরিকের স্বাধীনতাকে আরও সীমাবদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
- যে মতামতই দেওয়া হোক তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে আগে বিচার করতে হবে।
- বাক স্বাধীনতা দেশের মৌলিক অধিকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলের রয়েছে।