রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত আফগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ আরও চারদিন বাড়িয়েছে। এখন তিনি ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন। এদিকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা বলেছেন, জেল থেকে দিল্লি সরকার চলবে না। যার প্রেক্ষিপ্তে আম আদমি পার্টি বলছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লিতে “সাংবিধানিক সঙ্কট” বিজেপি-আপের মধ্যে চলছে উত্ত্যপ্ত বাক্যবিনিময়। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জোরদার হয়ে উঠেছে। এদিকে এর প্রেক্ষিপ্তে দিল্লি সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অতীশি বলেছেন যে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার যে কোনও ধরণের পদক্ষেপ হবে “ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন পদক্ষেপ"।
সূত্রের খবর কেন্দ্র এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার অফিস "রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক সমস্যা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির" উপর এই বিষয়ে আলোকপাত করছে। বৃহস্পতিবার, সাক্সেনা দিল্লির একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখেছেন, তিনি সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বদলি ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আটকে ছিল।
সূত্র জানাচ্ছে যে সাক্সেনার চিঠি, কীভাবে শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি প্রভাবিত হচ্ছে তা তুলে ধরছে। এদিকে, উত্তর পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেছেন কেজরিওয়ালের গ্রেফতার এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আপের "অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ" সাংবিধানিক সংকটের লক্ষণ।
তিনি বলেছেন, "দিল্লিতে একটি সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে… কেজরিওয়ালের গ্রেফতার এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আপের মধ্যে "অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ" শুরু হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা করছেন। আপ বিধায়করা তাকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ অতএব, দিল্লিতে আজ একটি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং কেজরিওয়ালের নাটকের মূল্য দিতে হচ্ছে দিল্লির মানুষকে"।
অন্যদিকে আপের তরফে সৌরভ ভরদ্বাজ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে লেফটেন্যান্ট গভর্নর "দিল্লি চালাতে এখন বিশেষ আগ্রহী"। তিনি বলেচেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলে দিল্লি চালাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর । তাঁর আকাঙ্খা নির্বাচনে না জিতেই সরকার চালানো। দিল্লি হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কেজরিওয়ালকে অপসারণের দাবিতে একটি পিআইএল খারিজ করা তাদের জন্য একটি ধাক্কা,"।