লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে শুরু হল সেনা সরানোর কাজ। বুধবারই সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলি থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই দেশই। কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে আরও বৈঠক করে ক্রমশ শান্ত করা হবে সেনাসংঘর্ষে উত্তপ্ত লাদাখকে এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন ভারত এবং চিন সীমান্তে নিজেদের অবস্থানের থেকে প্রায় ২ কিলোমিটাই পিছিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী। মূলত হট স্প্রিং এলাকা থেকেই আগে সরছে সেনা। ওদিকে চিনের তরফে সেনা ছাউনি তোলার কাজ শুরু হয়েছে, ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যুদ্ধের সামগ্রী।
সুরক্ষাবাহিনীর তরফে জানান হয় যে যুদ্ধকালীন অবস্থা তৈরি করতে চায় না কোনও পক্ষই। সেই ফর্মুলার উপর ভিত্তি করেই সেনা সরানোর কাজ চলছে। অফিসার এও জানান সন্ধ্যের মধ্যেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করার কথা রয়েছে। তবে দু'পক্ষই কথামতো কাজ করেছে কি না তা শুক্রবার যাছাই করে দেখা হবে। তিনি বলেন, "পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত কোনওরকম পেট্রোলিং চলবে না এই এলাকায়। দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে কথাবার্তার পর সব কাজ সুষ্ঠভাবে হচ্ছে।"
জুলাই মাসের ৭ তারিখ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায় পিপি ১৪ এলাকা থেকে ততক্ষণে সেনা সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল চিন। তবে গোগরা এলাকায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে। উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারের মতে এই মুহুর্তে দুই দেশই সেনা সরানোর কাজে একে অপরের উপরের শ্যেনদৃষ্টি রেখেছে। গালওয়ান সীমানতে সংঘর্ষের পর থেকেই ভারত-চিন সীমান্তে সেনা এবং যুদ্ধ সামগ্রী জড়ো করেছিল দুই দেশ। তবে অন্য এক অফিসারের মতে চিনের তরফে সেনা সরাতে আরও তিন চারদিন সময় লাগতে পারে। কারণ তাঁরা অনেক সেনা এবং সামগ্রী সীমান্তে জড়ো করেছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন