ভারতকে বিশ্বমঞ্চে খাটো করতে কু-উদ্দেশ্য ছিল দিশা রবির। তদন্ত যত এগোবে এই উদ্দেশ্য সামনে আসবে। টুলকিট-কাণ্ডে ধৃত তরুণী দিশা রবির জামিনের বিরোধ করে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও, দিশার পক্ষে আইনজীবী বলেছেন, 'নিষিদ্ধ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে দিশার কোনও সম্পর্ক এখনও তদন্তে উঠে আসেনি।' তাঁর আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল আরও বলেছেন, 'বিশ্বমঞ্চে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হলে যদি দেশদ্রোহিতা হয়, তাহলে আমার জেলে থাকা ভালো।' যদিও দিল্লি পুলিশের পাল্টা দাবি, 'দিশা জানে কতটা অপরাধ সে করেছে।'
টুলকিট-কাণ্ডে শুক্রবার পরিবেশকর্মী দিশা রবিকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। তার আগে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দিশাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে জেরা করে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও কয়েকজনের নাম বের করতে চায় পুলিশ। কিন্তু আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সেদিন সরকারি কৌঁসুলি আদালতকে জানান, পুলিশি জেরায় দিশা অন্য অভিযুক্ত শান্তনু এবং নিকিতা জ্যাকবের বিরুদ্ধে দায় ঠেলেছে। তাই দিশাকে শান্তনুর মুখোমুখি বসিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি জেরা করতে চায় পুলিশ। সেই কারণে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে দিশাকে চায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, দিশা, শান্তনু এবং নিকিতারা মিলে একটি টুলকিট তৈরি করেন কৃষক আন্দোলনের জন্য যেটা পরে শেয়ার করেছিলেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।। গ্রেটাকে সেই টুলকিট টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে পাঠান দিশা।
এদিকে, শুক্রবার দিল্লির আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দিশা এবং টুলকিট সংক্রান্ত গোপন মেসেজ সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস না করে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারবে পুলিশ। দিশার তরফে এই বিষয়ে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়ে আদালতে। সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত। বরং নির্দেশ দিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকরা যেন নিয়মের দায়েরে থেকে এই সংক্রান্ত খবর পরিবেশন করেন। পুলিশও যেন কোনও মেসেজ চ্যাট ফাঁস না করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন