পড়শি রাজ্যের হোমেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। ওড়িশার ঢেঙ্কানলের কাছে একটি হোমে এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে হোমেরই প্রধানের বিরুদ্ধে। যে অভিযোগে ওই হোমের প্রধানকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয় হোমেরই কয়েকজন নাবালিকা। তারপরই এ ঘটনা সামনে আসে। উল্লেখ্য, এ রাজ্যের হাওড়ার জয়পুরের একটি হোমে এক মূক-বধিরসহ বেশ কয়েকজন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে হোমেরই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।
ওড়িশার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে হোমে তাদের যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে নাবালিকারা। মানসিক ও শারীরিক হেনস্থা করত বলে অভিযোগে জানিয়েছে তারা। ভয় ও লজ্জায় তারা এতদিন এ নিয়ে মুখ খোলেনি বলে জানিয়েছে নাবালিকারা। ওই হোমে ৮০ জনেরও বেশি নাবালক ও নাবালিকার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, রক্ষকই ভক্ষক! মূক ও বধির কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হাওড়ার হোমের তিন কর্মী
ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হোমের মালিক ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফৈয়াজ রহমানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন ঢেঙ্কানলের এসডিপিও আব্দুল করিম। অন্যদিকে, সব অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছেন হোমের প্রধান। হোমে নিয়মকানুন কড়া করার জন্যই তারা এমন অভিযোগ তুলেছে বলে দাবি করেছেন হোম প্রধান।
এ খবর সামনে আসতেই শুক্রবার ওই হোমে হানা দেন জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য অনুরাধা গোস্বামী। এরপরই তিনি সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের প্রধানকে। বেআইনি ভাবে ওই হোম চালানো হত বলে জানিয়েছেন ডিসিপিও।
উল্লেখ্য, বিহারের হোমে ৩৪ জন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসার পর সব রাজ্যের সমস্ত শিশু প্রতিষ্ঠানে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ বছর, উত্তরপ্রদেশেও এমন অভিযোগ উঠেছে।
Read the full story in English