আইনসভায় আইন প্রণেতাদের পদ খারিজ করে দেওয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা অধ্যক্ষের ওপরেই ন্যস্ত রাখা যায় কি না তা সংসদকে পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। যেহেতু অধ্যক্ষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হন তাই এবিষয়ে কোনও স্বাধীন সংস্থার উপর বিচারভার রাখা যায় কি না তা বিবেচনা করার পরামর্শ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ সংসদকে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র নয়, দেশে প্রয়োজন মিলিটারি শাসনের’, বলেছিলেন কারিয়াপ্পা
কংগ্রেসের তরফ থেকে এক নেতা শীর্ষ আদালতে মণিপুর বিধানসভার বিধায়ক শ্যামকুমার সিংয়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগী বিরোধী আইন প্রয়োগ করার আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মণিপুর বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শ্যামকুমার। তবে পরে তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরের স্পিকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছিল পিটিশনের বিষয়ে মতামত জানাতে। যদি অধ্যক্ষ মতামত না দেন সেক্ষেত্রে মহ ফজুর রহিম এবং কে মেঘাচন্দ্র এই পিটিশন ফের দায়ের করতে পারে, এই মর্মেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার সোনিয়া-জামাতার সহযোগী, অভিযোগ অর্থ তছরুপের
এর আগে মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের এই আবেদনের নিষ্পত্তি করেছিল এবং দশম তফসিলের অধীনে বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এবিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছিল। বলা হয়েছিল, “এই আদালতের তরফে এখনই কোনও নির্দেশ জারি করা উচিত হবে না। অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং সে বিষয়ে বিবেচনা করা থেকে বিরত থাকবে হাইকোর্ট।"
Read the full story in English