৫৭ বছর বয়সী নাগা মহিলার হত্যা ঘিরে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে মণিপুরে। ৩রা মে থেকে জাতিগত হিংসায় জেরবার মণিপুর। সেই থেকে চলা হিংসার ঘটনায় এই হত্যা কে ‘বিরল ঘটনা’ বলেই উল্লেখ করেছে ইম্ফল পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একটি প্রেস মিট আয়োজন করে ইম্ফল পূর্ব পুলিশ। মণিপুর চলমান হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। মূলত এই হিংসা মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। হিংসার ঘটনায়ত নাগা সম্প্রদায়ের কোন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
নাগা সম্প্রদায়ের মধ্যবয়সী মহিলা লুসি মারিংকে শনিবার রাতে মেইতি-অধ্যুষিত ইম্ফল পূর্ব জেলায় তার বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সূত্রের খবর মহিলার মুখ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সন্দেহ কুকি হামলাকারীরা ওই মহিলা হত্যা করেছে। রবিবার মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে যে তারা মহিলা হত্যার ঘটনায় পাঁচ মহিলা সহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল (ইউএনসি) রবিবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে হত্যার প্রতিবাদে ১২ ঘন্টার বন্ধের ডাক দেয়। তারা আরও জানায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ন্যায়বিচারের দাবি পূরণ না হলে কাউন্সিল "আরও ব্যবস্থা নেবে”।
ইউএনসি হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে। নাগা মহিলার হত্যা নিয়ে চিন্তিত মণিপুর পুলিশকেও। মেইতি-কুকি দ্বন্দ্বের কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই অশান্ত। তার মধ্যে নাগা মহিলার হত্যা নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে বলেই পুলিশের ধারণা। রাজ্যের নাগা অধ্যুষিত এলাকায় সংঘাত ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে মনিপুর পুলিশ। ৩ মে থেকে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪২ জন লোক মারা গেছেন এবং ৬০হাজারের বেশি গৃহহীন হয়েছেন।