পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাল্টিমোরে ব্রিজ। দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৬ শ্রমিক। মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে ধসে পড়া ধ্বংসাবশেষ থেকে দুই নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জাহাজের ধাক্কায় যে বাল্টিমোর ব্রিজটি ভেঙে যায় সেটি অনেক পুরনো। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি প্রস্তুত করা হয় এই ব্রিজ। ব্রিজটি ১৯৭৭ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। এদিকে বাল্টিমোর ব্রিজ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাস আমেরিকার বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছে।
সোমবার গভীর রাতে জাহাজের সঙ্গে ব্রিজের’ একটি পিলারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এসময় জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার পর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার আগে জাহাজটিতে কিছু ‘বৈদ্যুতিক’ সমস্যার কথা জানা গিয়েছে। সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে বলেছে, “বাল্টিমোরে ব্রিজ দুর্ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা”।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন হোয়াইট হাউসে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বোর্ডে থাকা ক্রুরা মেরিল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশনকে সতর্ক করেছিল যে তারা তাদের জাহাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। যার ফলে স্থানীয় কর্মকর্তারা সেতুটি ভেঙে যাওয়ার আগে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। এর ফলে নিঃসন্দেহে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।”
বাল্টিমোরে দুর্ঘটনার পর এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। প্রেস কনফারেন্সে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বিডেন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, একজন অক্ষত এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পিছনে কোন ধরণের নাশকতার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।