এক আধিকারিক তাঁর সরকারি গাড়িতে পোষ্যকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন। এই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন জনৈক সাংবাদিক। আর, সেই ঘটনা ঘিরে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মথুরার জেলাশাসক পুলকিত খাড়ে। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটিও গঠন করেছেন। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় যে সরকারি আধিকারিককে দেখা গিয়েছে, তিনি হলেন মথুরা-বৃন্দাবন পৌর কর্পোরেশনের সহকারি মিউনিসিপ্যাল কমিশনার রাজকুমার মিত্তাল। ভিডিওয় তাঁকে এই ছবি তোলার জন্য সাংবাদিক দীপক চৌধুরিকে তিরস্কার করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওয় শোনা গিয়েছে, সাংবাদিক চৌধুরি বলছেন যে মিত্তাল যখন তাঁর কুকুরকে সরকারি গাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন, তখন তিনি কেন সেই ছবি তুলতে পারবেন না? কিছুক্ষণ পর অন্য সাংবাদিকরা হস্তক্ষেপ করায় ওই সরকারি আধিকারিক ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। এই ঘটনায় ওই সরকারি আধিকারিক ও সাংবাদিক উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন- দেশে টেলিকম পরিষেবায় নতুন দিগন্ত, চালু ৫জি পরিষেবা, প্রথমে কারা পাবে?
পরে অন্যান্য সাংবাদিকরাও এই ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক মিত্তাল জানিয়েছেন যে তিনি একটি কুকুরকে দত্তক নিয়েছেন। সেই দত্তক নেওয়া কুকুর ও দুটি বিড়ালছানাকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য একজন ভেটেরিনারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আমি যখন পশু হাসপাতাল থেকে ফিরছিলাম, তখন একজন লোক ছবি তুলতে শুরু করে। আমি তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলে সে দৌড়তে শুরু করে। আমি তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলি। আমি বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও জানিয়েছি।'
এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। সঙ্গে ভিডিওটি বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির টুইটার হ্যান্ডেলে ক্যাপশন-সহ শেয়ারও করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, 'যোগীজি! (যোগী আদিত্যনাথ) লখনউ থেকে এমন কাউকে পাঠান যে এই স্যারের (সাহাব) কুকুরকে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে পারে আর তাঁর কুকুরের মল পরিষ্কার করতে পারে। অন্যথায় আপনার অফিসাররা প্রশাসনিক কাজ ছেড়ে কুকুরদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। মথুরা-বৃন্দাবনের মতো সংবেদনশীল এবং বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রে একজন সরকারি আধিকারিকের কর্তব্যে এই অবহেলা এবং গুন্ডামি ক্ষমার অযোগ্য।'
Read full story in English