অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর প্রবেশিকায় ফেল করে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ দায়ের করলেন এক চিকিৎসক। ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রবেশিকার জন্য অগণিত কোচিং সেন্টার রয়েছে দেশজুড়ে। পড়ুয়াকে নয়া পদ্ধতিতে শিক্ষা দিয়ে সেরা ফলাফল পাইয়ে দেওয়ার মতো একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে তারা। তবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, ফলাফল কেমন হবে তা কোচিং ক্লাসের পড়াশোনার বাইরেও নির্ভর করে পরীক্ষার উপরেও।
সম্প্রতি ডাঃ শঙ্করা রাও নামে এক ব্যক্তি প্রবেশিকায় ফেল করার অভিযোগে হায়দরাবাদের ভাটিয়া মেডিক্যাল ইনস্টটিউটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রাও জানান, ভর্তির সময় ওই কোচিং সেন্টারের তরফে বলা হয়েছিল যে, প্রখ্যাত প্যাথোলজিস্ট ডাঃ দেবেশ মিশ্র ক্লাস করাবেন পড়ুয়াদের। কোর্স চলাকালীন যা কোনওদিনই হয়নি বলে দাবি ওই পড়ুয়ার। বছর ২৮-এর ওই পড়ুয়ার আরও অভিযোগ, নিজেদের প্রতিশ্রুতি মতো কোনও কথাই রাখেনি ভাটিয়া মেডিক্যাল ইনস্টটিউট। এমনকী সিলেবাস অনুযায়ী সমস্ত বিষয় পড়ানোও শেষ করেনি তারা। যার কারণেই তিনি পরীক্ষায় ফেল করেছেন বলে অভিযোগ রাও-এর।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও যৌন লাঞ্ছনায় কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে পরিচিতি প্রকাশ করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ওই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে সময় এবং টাকা নষ্ট করার অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান শঙ্করা রাও। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভাটিয়া মেডিক্যাল ইনস্টটিউট। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ানোর পদ্ধতিতে কোনও ত্রুটিই ছিল না। পাশাপাশি দেবেশ মিশ্রকে নিজেদের ফ্যাকাল্টি হিসেবেও তারা দাবি করেনি বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ওই সেন্টার।
শঙ্করার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর জানিয়েছে, অভিযোগকারীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি ওই কোচিং সেন্টার, ফলত বঞ্চিত হয়েছেন ওই পড়ুয়া। ইনস্টিটিউটকে দোষারোপ করে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর কোচিং সেন্টারকে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভর্তির জন্য দেওয়া ৪৫,০০০ টাকা ফেরত সহ ৩২,০০০ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পড়ুয়াকে।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের কোনও কোচিং সেন্টার যদি পড়ুয়াদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে পালন না করতে পারে, সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন পড়ুয়ারা।