Uttar Pradesh: চার বছর আগের অক্সিজেনের অভাবে গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে ৭০ শিশু মৃত্যুর হয়েছিল। সেই ঘটনায় বরখাস্ত হলেন চিকিৎসক কাফিল খান। উত্তর প্রদেশ স্বাস্থ্য দফতর এতদিন তাঁকে সাসপেনশনে রেখেছিক। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা।
তবে তদন্ত রিপোর্ট এখনই প্রকাশ্যে আনছে না স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় আদালতে সেই রিপোর্ট জমা করা হবে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দফতর সূত্রে এই কথা জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল চিকিৎসার ডিজি দফতরে সাসপেনসন থাকাকালীন কর্মরত ছিলেন কাফিল খান। তার আগেই অভিশপ্ত সেই হাসপাতালে পেড্রিশিয়ান বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি।
যদিও কাফিল খানের বিরুদ্ধে নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কটাক্ষ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। ওই চিকিৎসককে কালিমালিপ্ত করতেই স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে বরখাস্ত করেছ। এভাবেই সুর চড়ান কংগ্রেস নেত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের সরকারের জানা উচিত কেউ সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়। কাফিল খানের লড়াইয়ে কংগ্রেস পাশে আছে।‘
আদালত তাঁকে বেকসুর করলেও, কীভাবে স্বাস্থ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে? বরখাস্তের খবর শুনেই এই প্রশ্ন করেছেন কাফিল খান। বুধবার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমার বরখাস্তের খবর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন। ওদের আমাকে বরখাস্তের কোনও এক্তিয়ার নেই। উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে অনুমতি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন