Advertisment

রানি এলিজাবেথের অবস্থা ভাল নয়, খবর পেয়েই স্কটল্যান্ড ছুটল পরিবার

ডাক্তাররাই পরিবারের সদস্যদের রানির কাছে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
queen of britain 1

ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের শারীরিক অবস্থা ভালো না। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁকে চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রানি এলিজাবেথের বয়স এখন ৯৬। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু, এবার অত্যন্ত অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। খবর পেয়েই বাড়ির লোকজন রানিকে দেখতে ছুটেছেন স্কটল্যান্ডে। রানি এলিজাবেথ ব্রিটেন তো বটেই, বিশ্বে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে রাজত্ব করা শাসক। গত বছর থেকেই তিনি তেমন একটা আর হাঁটাচলা করতে পারছেন না।

Advertisment

বাকিংহাম প্যালেস এই ব্যাপারে জানিয়েছে, 'আজ সকাল তাঁকে ডাক্তাররা দেখেন। তারপরই রানির স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে রানির অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বালমোরাল প্রাসাদে আছেন।' রানির বড় ছেলে যুবরাজ চার্লস ও তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা বালমোরালে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। গত অক্টোবরে রানি এলিজাবেথকে একরাত হাসপাতালে কাটাতে হয়। তারপর থেকেই তাঁর জনসমক্ষে আসা একপ্রকার বন্ধ।

বুধবারই রানির ব্রিটেনের মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু, রানির শারীরিক কারণে সেই বৈঠক বাতিল হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। কনজারভেটিভ দলের নির্বাচনে জয়ের পর লিজ ট্রাস বালমোরাল প্রাসাদে রানির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। লিজেরও পুরো নাম এলিজাবেথ। তিনি ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। রানি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! মুম্বই বিস্ফোরণের পান্ডা ইয়াকুব মেমনের কবরস্থানে সৌন্দর্যায়ন, ছড়াল তীব্র বিতর্ক

রাজবাড়ি সূত্রের খবর, ডাক্তাররাই পরিবারের সদস্যদের রানির কাছে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, যখন তখন যা কিছু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে রানি এলিজাবেথ ব্রিটেন শাসন করছেন। এবছর তাঁর রাজত্বের ৭০ বছর পূর্তি হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী ট্রাসও জানিয়েছেন, গোটা ব্রিটেন রানির শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন।

এই ব্যাপারে ট্রাস বলেছেন, 'আমি এবং গোটা ব্রিটেন এখন রানির শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা রানি ও তাঁর পরিবারের পাশে আছি।' হাউস অফ কমন্সের স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল পার্লামেন্টে একটি বিতর্কের মধ্যেই রানির খবর জনপ্রতিনিধিদের দিয়েছেন। একইসঙ্গে রানির আরোগ্য কামনা করে রাজপরিবারকে বার্তা পাঠিয়েছেন। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেন, 'ব্রিটেনের অন্যান্য সকলের সঙ্গে আমিও আজ বিকেল থেকে বাকিংহাম প্যালেসের খবরে গভীরভাবে চিন্তিত। রানির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।'

Read full story in English

Britain Queen Elizabeth II Prime Minister
Advertisment