ডোকলাম একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে, তার মাঝেই উত্তর মণিপুরে মায়নামার থেকে অনুপ্রবেশ নতুন সমস্যা। এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা। গত তিন মাসে মায়নামার থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সেনাবাহিনীর জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
ডোকলাম যেমন ২০১৭ সাল থেকে সেনার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে, ঠিক তেমনই মায়নামার থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশের ঘটনা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। যা মণিপুর হিংসার অন্যতম কারণ বলেও বর্ণনা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালাবে, এই আশঙ্কায় বেশ কয়েকজন অভিবাসী পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছিল। বেশিরভাগ অভিবাসী মিজোরামে পাড়ি জমায় আর কেউ কেউ মণিপুরে চলে আসে।
তবে গত তিন থেকে চার মাসে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে চরমপন্থী সংগঠনের লড়াই তীব্র হয়েছে। যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশের ঘটনা আগের থেকে বেড়েছে অনেকটাই। যা আগে মিজোরাম-মায়নামার সীমান্তে সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন উত্তর দিকে প্রসারিত হতে শুরু করেছে। এই অনুপ্রবেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি। তাদের স্থানীয় জনসংখ্যার সঙ্গে মিশে যাওয়ার সেই সঙ্গে মাদকদ্রব্য ও মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার ভালই সুযোগ রয়েছে,"।
মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে, সেনা কমান্ডার বলেছিলেন যে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তবে সমস্যা রয়ে গেছে কারণ সংঘর্ষে জড়িত উভয় সম্প্রদায়ই একে অপরের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসছে না"। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ডোকলাম সম্পর্কে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা বলেছিলেন যে এটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে তবে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে, ডোকলামের দিকে আর কোনও চীনা নির্মাণ পরিলক্ষিত হয় নি। এলাকায় সদা সতর্ক রয়েছে বাহিনী বলেও জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা।