করোনাভাইরাসের ভয়াল সংক্রমণ রুখতে গৃহবন্দি হয়েছে গোটা দেশ। এদিকে ঘরে ঘরে বৃদ্ধি পেয়েছে হিংসার ঘটনা। পাশাপাশি বেড়েছে নির্যাতনের অভিযোগও। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্যাতন কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বৃহস্পতিবার বলেন যে বেশিরভাগ অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়ছে ইমেলের মাধ্যমে।
দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের পরিমাণ। মার্চের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল ১১৬টি। সেখানে ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৫৭টি। রেখা শর্মা বলেন, "প্রতিদিন বেড়েই চলেছে ইমেলের সংখ্যা। আজ, আমি নৈনিতালের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি যেখানে কোনও মহিলা দিল্লির নিজের বাড়িতে যাতায়াত করতে অক্ষম এবং তাঁর স্বামী তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করছে। এই মুহুর্তে তিনি এমন একটি হোস্টেলে আশ্রয় চান যেখানে তিনি লকডাউনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য বেঁচে থাকতে পারেন। তিনি লিখেছেন এমনকি তিনি পুলিশে যেতে চান না কারণ পুলিশ তাঁর স্বামীকে নিয়ে গেলেও তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের মধ্যেই থাকতে হবে।"
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “আমি এই লকডাউন পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ দেখছি। মহিলারা চাইলেই পুলিশের কাছ অবধি পৌঁছতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুলিশের কাছে যেতে চান না কারণ স্বামী যদি কয়েকদিন মুক্তি তখন অত্যাচার আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের।" রেখা শর্মা এও বলেন যে আগে কোনও ধরণের সমস্যা হলে তাঁরা তাঁদের মা-বাবার কাছে যেতে পারতেন। কিন্তু লকডাউনে সেই উপায়ও নেই। যদিও অভিযোগকারীনিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কমিশন এমনটাই জানান হয়েছে।
Read the full story in English