/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/donald-trump-759.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ইরানে বসেই কাসেম সোলেমানি দিল্লি ও লন্ডনে হামলায় মদত দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ' সোলেইমানি মানুষকে হত্যা করতে ভালবাসত। সে ইরান থেকে অনেক দূরে দিল্লি ও লন্ডনেও সন্ত্রাসের ছক কষেছিল। যাঁরা তার হামলায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ওই এলাকায় সোলেমানির সন্ত্রাসের অবসান হয়েছে, যা ভেবেই শান্তি পাচ্ছি।'
We have the best military and the best intelligence anywhere in the world. If Americans are threatened, we are prepared to respond. pic.twitter.com/cWuFh6D60w
— The White House (@WhiteHouse) January 4, 2020
ট্রাম্প এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'ইরাকে কিছুদিন আগে মার্কিন অফিসে হামলা হয়েছিল। তাতে এক আমেরিকান নাগরিক মারা যান। আর এক আমেরিকান গুরুতর জখম হন। বাগদাদে আমাদের দূতাবাসেও হামলা করা হয়েছে। সোলেমানির নির্দেশেই দূতাবাসে হামলা করেছিল উত্তেজিত জনতা।'
আরও পড়ুন: মার্কিন হানায় নিহত কাসিম সোলেইমানি কে ছিলেন?
এদিকে, কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শনিবার উত্তর বাগদাদে ফের ইরানী কনভয়ে হামলা চালাল মার্কিন সেনা। এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরাকে নিযুক্ত ইরানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাশদ আল শাবি। এই হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন।
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস কম্যান্ডার কাসিম সোলেইমানি। আমেরিকা ও তার মিত্রশক্তির তুমুল বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। এরপরই ইরান ও ইরাক, উভয়েই যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে আমেরিকাকে। পশ্চিম এশিয়ায় বাহিনী বৃদ্ধি করে আমেরিকা। সোলেমানির মৃত্যুর পরে ইরান ও ইরাক, উভয়েই যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে আমেরিকাকে। ট্রাম্প যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, 'যুদ্ধ যাতে না হয়, সেজন্যই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা যুদ্ধ শুরু করার জন্য অভিযান চালাইনি। ইরানের জনগণকে আমরা সম্মান করি।' এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পশ্চিম এশিয়া উত্তেজনা প্রশমণ করে ফের শান্তি প্রতিস্থাপনের আবেদন করেছে।