Advertisment

Donald Trump decisions: 'আমেরিকা ফার্স্ট নীতি'র ঝলক, ট্রাম্পের একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত, প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতেও?

Donald Trump decisions: শপথগ্রহণের পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় সিদ্ধান্ত। যার প্রভাব কেবল আমেরিকাতেই নয়, সমগ্র বিশ্বেই পড়তে চলেছে। তাঁর প্রথম ভাষণে, ট্রাম্প বলেন আবার আমেরিকার 'স্বর্ণযুগে' ফিরতে চলেছে। আসুন জেনে নিই ট্রাম্পের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Major decisions by Donald Trump

'আমেরিকা ফার্স্ট নীতি'র ঝলক, ট্রাম্পের একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত, প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতেও? Photograph: (ফাইল ছবি)

Donald Trump Big decisions: 'আমেরিকা ফার্স্ট নীতি'র অধীনে শপথগ্রহণের পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় সিদ্ধান্ত। যার প্রভাব কেবল আমেরিকাতেই নয়, সমগ্র বিশ্বেই পড়তে চলেছে। তাঁর প্রথম ভাষণে, ট্রাম্প বলেন আবার আমেরিকার 'স্বর্ণযুগে' ফিরতে চলেছে। আসুন জেনে নিই ট্রাম্পের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে।  

Advertisment

গতকাল, অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায়, সকলের চোখ আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এর সাথে সাথে ট্রাম্প বেশ কিছু বড় ঘোষণাও করেছেন। এই সময় ট্রাম্প ৩০ মিনিটের একটি চমৎকার ভাষণ দেন। ট্রাম্পের ভাষণে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির এক ঝলক স্পষ্টভাবে দেখা যায়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় বেশ কয়েকটি বড় পরিবর্তনের ঘোষণা করেন। 

সোমবার আমেরিকার ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। মোদী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন “আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ঐতিহাসিক এই অভিষেকের জন্য অভিনন্দন! ভারত-মার্কিন উভয় দেশের কল্যাণে ও উন্নতি এবং উন্নত ভবিষ্যত গঠনের জন্য  আবারও একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। সফল মেয়াদের জন্য শুভকামনা!”

Advertisment

তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি বিলুপ্ত করা হয়েছে

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় লিঙ্গ অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডারদের উপর সরকারি স্বীকৃতি বাতিল করেছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে আমেরিকায় কেবল দুটি লিঙ্গ থাকবে, পুরুষ এবং মহিলা।

অবৈধ অভিবাসীদের উপর আরো কঠোর ব্যবস্থা

করোনাকালের পর আমেরিকা অবৈধ অভিবাসীদের কাছে একটি প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিই করেননি, বরং আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সেই দাবি এবার পূরণের পথে এগোতে চলেছেন ট্রাম্প।

 মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত অর্থাৎ মেক্সিকোর চারপাশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে অবৈধ অভিবাসীরা কেবল মেক্সিকো দিয়েই আমেরিকায় প্রবেশ করছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময়ও ট্রাম্প এই সীমান্ত নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন। 

 অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক ও কর আরোপ করা হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে অন্যান্য দেশকে ধনী করার জন্য, আমরা আমাদের দেশের জনগণের উপর কর আরোপ করি। কিন্তু এখন, আমাদের দেশকে ধনী করার জন্য, আমরা অন্যান্য দেশের উপর কর এবং শুল্ক আরোপ করব।

গ্রিন ডিল শেষ হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, আমেরিকায় ইলেকট্রনিক গাড়ি কিনতে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং প্রত্যেকেই তাদের পছন্দের গাড়ি কিনতে পারবে।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে আমেরিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। সেই কারণেই আজ থেকে আমেরিকায় সবকিছু বদলে যেতে চলেছে। সবকিছু খুব দ্রুত বদলে যাবে।

 মঙ্গল গ্রহে আমেরিকার পতাকা উড়বে

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি মঙ্গল গ্রহে মার্কিন মহাকাশচারী প্রেরণ করবেন। মঙ্গল গ্রহে উত্তোলিত হবে আমেরিকার 'তারকাখচিত' পতাকা।

 WHO থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া

সোমবারই ৪৭ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ শপথ নিয়েই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে আমেরিকার সরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন তিনি ৷ এই মর্মে একটি আদেশে পত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প ৷ পাঁচ বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার বিশ্ব সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট । একই সঙ্গে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার কথাও জানিয়ে দিল আমেরিকা ৷  ট্রাম্প WHO করোনা মহামারীর সময় এর নীতিগুলির সমালোচনাও করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র WHO-কে তহবিল প্রদান বন্ধ করবে, যার ফলে সংস্থার বিভিন্ন  কর্মসূচির উপর প্রভাব পড়বে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ WHO-এর কর্মকাণ্ডকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা

ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যেখানে তিনি মার্কিন নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার কথা বলেছেন। এই আদেশের অধীনে, সরকারি সংস্থাগুলিকে মার্কিনীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা থেকে বিরত রাখা হবে। 

ব্রিকস দেশগুলিকে সতর্কীকরণ 

ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলিকে (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন  এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ ১১ দেশকে সতর্ক করে বলেছেন,  যে যদি এই দেশগুলি আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও নীতি গ্রহণ করে, তাহলে তাদের গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ট্রাম্প বলেন, এই দেশগুলি বহুবার আমেরিকার স্বার্থকে উপেক্ষা করেছে এবং যদি তারা তা অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের কঠোর  পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। এই বিবৃতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

টিকটককে ৭৫ দিনের অতিরিক্ত সময়

জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিনা শর্ট   ভিডিও অ্যাপ টিকটককে ৭৫ দিন অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন বাজারে টিকটকের ব্যবসা অব্যাহত রাখার আশা জোরালো হচ্ছে। কিন্তু একই সাথে বিতর্কও রয়ে গেছে। শপথ গ্রহণের পর ৭৫ দিন পর্যন্ত অ্যাপটি চালু রাখার সুযোগ দেবেন তিনি। তার মধ্যে টিকটকের বর্তমান মালিকানাধীন সংস্থা বাইটডান্সকে টিকটকের ৫০ শতাংশ মালিকানা তুলে দিতে হবে কোনও মার্কিন সংস্থার হাতে। তাহলেই কেটে যাবে আইনি বাধা। আমেরিকায় টিকটক চালু হওয়ার পর ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংস্থার তরফে বলা হয়, আমেরিকায় ফের টিকটক চালু হল।

 রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপর অবস্থান

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই বছর ধরে চলা সংঘাতের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে কখনই  এই যুদ্ধ কখনও হত না। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই যুদ্ধ আরও আগেই শেষ হতে পারত। এই বিবৃতি থেকে বোঝা যায় যে ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণের পরিকল্পনা করতে চলেছেন যা  বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে।

কানাডা এবং মেক্সিকোতে ২৫% শুল্ক

ট্রাম্প কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর ২৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। এই সিদ্ধান্ত ১ ফেব্রুয়ারি  থেকে কার্যকর হতে পারে। যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে উভয় দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বেশিরভাগ পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে, যা বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। 

৬ জানুয়ারির অপরাধীদের ক্ষমা

৬ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে মার্কিন পার্লামেন্টে (ক্যাপিটল হিল) হামলার সাথে জড়িত প্রায় ১,৫০০ রিপাবলিকান পার্টির কর্মীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। 

 

Donald Trump
Advertisment