মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড মেজর জেনারেল কাশিম সোলেইমানিকে। জানাল পেন্টাগন। শুক্রবার ভোর-রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারস্ট্রাইকে প্রাণ হারান সোলেইমানি।
'আমেরিকার কূটনীতিক ও ইরাকে কর্মরতদের উপর হামলার সক্রিয় হামলার পরিকল্পনা করছিলেন কাশিম সোলেইমানি। তাঁর কুদস বাহিনীর আক্রমণেই শতাধিক মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু।' জানিয়েছে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স।
At the direction of the President, the U.S. military has taken decisive defensive action to protect U.S. personnel abroad by killing Qasem Soleimani, the head of the Iranian Revolutionary Guard Corps-Quds Force, a US-designated Foreign Terrorist Organization.
— The White House (@WhiteHouse) January 3, 2020
হোয়াইট হাউসের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই মার্কিন-মনোনীত বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস-কুদস ফোর্সের প্রধান কাশিম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। বিদেশে কর্মরত মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইরাক ও লেবাননের সংবাদ মাধ্যমও কুয়াশিম সোলেইমানির মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে।
বহস্পতিবারই মার্কিন বিদেশ সচিব সতর্ক করে বলেছিলেন, 'ইরাক ও সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর উপর ইরানের মদতপুষ্ট বাহিনী হামলার পরিকল্পনা করেছে। বিগত দিনে তারা বেশ কয়েকবার হামলাও চালিয়েছে। যা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে মার্কিন বাহিনী প্রতি-হামলা চালাবে।' তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রকাশ পায় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড মেজর জেনারেল কুয়াশিম সোলেইমানির মৃত্যুর খবর।
আরও পড়ুন: আল-বাগদাদির পর দুনিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী কে?
বাগদাদ জয়েন্ট কমান্ডের দেওয়া তথ্য অনুশারে, কুদস বাহিনীরপ্রধান ছাড়াও মার্কিন হানায় নিহত হয়েছেন, আরও পাঁচ জন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আবু মেহদি আল মুহানদিস ও মহম্মদ রিধা জাবরি। মুহানদিস ইরানের পক্ষে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়েন্ট কমান্ডের এক অফিসার জানিয়েছেন, সোলেইমানি ও রিধা এদিন ইরান থেকে বিমানে বাগদাদে আসে। যা জানতে পারে মার্কিন সেনা। তখনই তাদের পাকড়াও করে একটি গাড়িতে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই বোমা নিক্ষেপ করা হয় গাড়িটিতে। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সাফল্য মেলে মার্কিন বাহিনীর। তবে, এতে বিমানবন্দর বা কোনও যাত্রীর ক্ষতি হয়নি।
দিন কয়েক আগেই, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দে্খায় স্থানীয়রা । দূতাবাসের একটি অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরানো দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভে ইরানের দলটির মদত ছিল বলে মনে করছে আমেরিকা। তার প্রেক্ষিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইটে জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিকস্তরে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে আমেরিকা। কাশিম সোলেইমানিকে হত্যার পরের পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে তারা।
The US' act of international terrorism, targeting & assassinating General Soleimani—THE most effective force fighting Daesh (ISIS), Al Nusrah, Al Qaeda et al—is extremely dangerous & a foolish escalation.
The US bears responsibility for all consequences of its rogue adventurism.
— Javad Zarif (@JZarif) January 3, 2020
Read the full story in English