অনলাইন ভোটের রায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে পুনর্বহালের পক্ষে। ফলে ফের সচল করা হয়েছে টুইটারে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি। টুইটার কর্ণধার এলন মাস্ক বলেছেন, 'জনগণের স্বরই ঈশ্বরের স্বর।' এ জন্য মাস্করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তবে টুইটারে আর নতুন করে নিজেকে মেলে ধরতে আগ্রহী নন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান ইহুদি জোটের বার্ষিক সভায় ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কী টুইটারে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছেন? ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি এর কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না।' তাঁর সাফ কথা যে, তিনি তাঁর নতুন প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে খুব খুশি। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) স্টার্টআপ প্রজেক্ট এই ট্রুথ সোশ্যাল। যাকে তিনি টুইটারের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন। দাবি করেছেন যে, সেটি 'অসাধারণ ভাল' কাজ করছে।
গত শুক্রবার থেকে ইলন মাস্ক যে অনলাইন পোল শুরু করেছিলেন টুইটারে, তাতে সামান্য বেশি ভোট পড়ে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরানোর স্বপক্ষে। দেখা যায়, ৪৮.২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট না ফেরানো পক্ষে। অন্যদিকে, ৫১.৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করার পক্ষেই ভোট দেন।
২০২০ সালে মার্কিন ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা ও তাতে উস্কারির অভিযোগে, আমেরিকার তৎকালীন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট চিরতরে টুইটার থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারের মালিকানা অধিগ্রহণের পরই ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাদের টুইটার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, তাদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন। এরপরই গত শুক্রবার অনলাইনে ভোটের ঘোষণা করেন মাস্ক।
ট্রাম্পের দাবি, টুইটারের বড় সমস্যা হল সেটি ফেক অ্যাকাউন্টে ভরে গিয়েছে। আর টুইটারে সচল না হওয়ার কারণ হল তাঁর নিজস্ব ট্রুথ সোশ্যাল। টুইটারে ট্রাম্প ফিরলে ট্রুথ সোশ্যালের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কমতে পারে ফলোয়ারের সংখ্যা। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের প্রায় ৪.৫৭ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর এবং অক্টোবরে গুগলের প্লে স্টোরে চালু হয়েছে ট্রুথ সোশ্যাল।