ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওকলাহোমায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, 'খুব কঠিন সময় চলছে। ভারতের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। চিনের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। বেশ বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দু’পক্ষ। দেখছি কী করা যায়। এই পরিস্থিতির ওদের সমস্যা সমাধানে সবরকম সহায়তার চেষ্টা করব।'
লাদাখের গালওয়ানে ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু'দেশের সেনা। যেকোনও মুহূর্তে ফের সংঘাত ঘটতে পারে। নিয়ন্ত্রণরেকা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে মে মাসের গোড়া থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা ছিলতার মধ্যেই লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের তরফেও বহু হতাহত হয়েছে বলে দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফলে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।
ভারতীয় সেনার প্রতি হামলার জন্য চিনের নিন্দা করেছে আমেরিকা। মার্কিন অতিরিক্ত বিদেশ সচিব প্রবল সমালোচনা করে বেজিংয়ের। সংঘর্ষের কারণ হিসাবে করোনার মাঝে চিনের জমি দখলের নীতিতেই দুষেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবারই ‘২০২০ কোপেনহাগেন ডেমোক্র্যাসি সামিট’-এ ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেন মাইক পম্পেয়ো। সেখানে তিনি চিনকে ‘দুর্বৃত্ত’ বলে সম্বোধন করেন ।
'প্রসিডেন্ট ভারত-চিন গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।' বিবৃতি প্রকাশ করে গত সপ্তাহেই জানান হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব কে ম্যাকেনানি। গত ২রা জুন মোদী-ট্রাম্প ফোনে কথা হয়। সেখানেও দুই রাষ্ট্রনেতার ইন্দো-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান ম্যাকেনানি। রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যও চিনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। চিনকে বিশ্বাসের কোনও কারণ নেই বলেই জানান রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ল্যান্স গুডেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন