বিলকিস বানোর ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যকে খুনে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। যদিও খোদ গুজরাত সরকারই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, যে সিবিআই এবং বম্বে সেশন কোর্টের বিরোধিতা সত্ত্বেও শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদনের ভিত্তিতেই বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দিতে হয়। যদিও গুজরাতের বিজেপি সরকারও দোষীদের 'ভদ্র আচরণ-১৪ বছর জেলে কাটানো'- তত্ত্ব শীর্ষ আদালতে খাড়া করেছিল।
গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে ধর্ষণ ও তাঁর নাবালিকা কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল বেশ কয়েকজন। আদালতই তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়। যদিও এবছরের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে দোষী ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিষয়টির জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
তবে শীর্ষ আদালতে এব্যাপারে নিজেদের দায় এড়িয়ে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে ঠেলেছে গুজরাত সরকার। এবার কেন্দ্রের তরফেও এব্যাপারে মুখ খুললেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি।। তাঁর কথায়, "আমি এতে ভুল কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ এটি আইনের প্রক্রিয়া মেনেই হয়েছে।" জোশিকে ঊদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে এনডিটিভি। যে দোষীরা কারাগারে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তাদের মুক্তির ব্যাপারে আইনেই নির্দিষ্ট করে একটি বিধান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- জামিন পেলেন না উমর খালিদ, উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
জেলে ১৪ বছর কাটিয়েছিল বিলকিস বানো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক ও খুনিরা। ওই ১১ জন জেলে ভদ্র আচরণ করেছিল বলে দাবি গুজারত সরকারের। সেই কারণেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল বলে হলফনামা দিয়ে জানায় তারা।
যদিও ওই ১১ আসামারি মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে করা একটি আবেদনের জবাবে হলফনামায় গুজরাত সরকার জানায়, "পুলিশ সুপার, সিবিআই, বিশেষ অপরাধ শাখা, (মুম্বই) এবং বিশেষ সিভিল জজ (সিবিআই), সিটি সিভিল এবং সেশনস কোর্ট (গ্রেটার বম্বে), গত বছরের মার্চ মাসে এই সাজা প্রাপ্তদেদের দ্রুত মুক্তির আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল।''