ভারতে মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪।
গোটা দেশজুড়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। এই প্রেক্ষাপটে করোনা সংক্রান্ত সব গুজব থেকে দুরে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গুজব এড়িয়ে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। করমর্দন এড়িয়ে হাত জোড় করে নমস্তে বলে শুভেচ্ছা জানান।' করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।
এর আগে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেও এ বছর ‘হোলি মিলন অনুষ্ঠানে’ যোগ দেবেন না। এদিন টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘করোনার থাবা থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা ভিড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই আমিও এ বছর হোলি মিলন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: হাঁচি-সর্দি মানেই করোনাভাইরাস, এমনটা ভেবে বসবেন না
গতকালই থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়া ফেরৎ দিল্লির এক ব্যক্তির শরীরে কোরানার জীবাণু মিলেছে। এই নিয়ে দিল্লিতে মোট তিন জনের শরীরে মিলল করোনার জীবাণু। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪। শনিবার কেন্দ্র শাসিত জন্মু-কাশ্মীরে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইটালি ফেরৎ দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। ইতিমধ্যেই তাদেরকে আইশোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রক্তের নমুনা দিল্লির এইমস-এ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। জম্মু-কাশ্মীরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার বিড়ম্বনা, ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া হাজিরায় নিষেধাজ্ঞা কলকাতার কিছু সংস্থার!
চিন জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসে আরও ২৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। সেদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৩,০৭০ ছাড়িয়েছে। নতুন করে যে ২৮ জনের মৃত্যু খবর চিন জানিয়েছে তা ঘটেছে হুবেই প্রদেশ ও উহানে। চিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সেদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬, ৬৫১ জন।
আরও পড়ুন: মুরগী, মটন, সামুদ্রিক মাছে করোনা! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
গোটা বিশ্বে করোনার বলি ৩,৪০০ জন। মারণ জীবাণুতে আক্রান্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। চিন থেকে যে মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি তা ৯০টি দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবারই সাতটি দেশ থেকে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন