বেসরকারি স্কুলগুলি পড়ুয়াদের ব্যয়বহুল শিক্ষা সামগ্রী এবং ইউনিফর্ম কিনতে এবার থেকে বাধ্য করতে পারবে না। কড়া নির্দেশ জারি করল দিল্লি সরকার। দিল্লি সরকারের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এই ধরণের কোন অভিযোগ পেলে সেই সকল বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দিল্লি সরকার।
শিক্ষা দফতরের জারি করা এক নির্দেশে বলা হয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলির অধিকাংশই ট্রাস্ট অথবা সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত হয় এবং সেক্ষেত্রে "লাভ ও বাণিজ্যিকী করণের সুযোগ নেই"। আদেশে বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই বই এবং অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী কেনার বিষয়ে ওয়েবসাইটে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
সেই সঙ্গে সংবাদপত্র অথবা টিভি চ্যানেলে এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হবে যাতে সকলের কাছেই তা পরিষ্কার হয়। এছাড়াও, স্কুলের কাছাকাছি অন্তত পাঁচটি দোকানের নাম, ঠিকানা এবং টেলিফোন নম্বরও নথিবদ্ধ করতে হবে ওয়েবসাইটে যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বই এবং ইউনিফর্ম সহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি স্কুলগুলিকে আগামী তিন বছরেরে জন্য ইউনিফর্মের রঙ বদল না করার এক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশের বিশদ বিবরণ তুলে ধরে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, ‘এই আদেশের ফলে অভিভাবকদের খানিক সুরাহা মিলবে। অনেকেই আছেন যারা তাদের সন্তানকে কেবল আর্থিক কারণে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করতে পারেন না। এবার থেকে সেই সকল অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করতে পারবেন'।
তিনি বলেন, 'করোনার কারণে অনেক পরিবারই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। মূলত তাদের সকলের কথা বিবেচনা করা দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কোন স্কুলের কোন নির্দিষ্ট বিক্রেতার কাছ থেকে বই বা ইউনিফর্ম কিনতে বাধ্য করার ক্ষমতা নেই। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা। বই, ইউনিফর্মের জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে ইচ্ছামত অর্থ আদায়ের মত কোন বিষয় সরকারের তরফে বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ পেলে সেই সকল স্কুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।