কেন্দ্রের নতুন তিন কৃষি আইন নিয়ে সংসদে বিস্তর আলোচনার পর শাসক দল বিজেপি বুধবার বিরোধীদের জানিয়ে দেয় এই আন্দোলনকে যেন শাহিনবাগ আন্দোলন না বানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে নির্মলা সীতারমণ, সকলেই বলেছেন যে আলোচনার মাধ্যমে এই সময়ার সমাধান চান তাঁরা। এমনকী কৃষি মন্ত্রীকে ফোন করলেই এর সমাধান হবে সেই কথা জানিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।
রাজ্যসভায় বিজেপির তরফ থেকে আর্জি রাখা হল বিরোধীরা যেন দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করেন। কৃষকদের এই অসন্তোষ যেন আরও একটা শাহিনবাগ তৈরি না করে দেয়। রাজ্যসভায় বিজেপি সদস্য ভুবনেশ্বর কালিতা বলেছিলেন, “এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি আইনের সুবিধা ১০ কোটিরও বেশি লোক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে। কৃষকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার কোনও হ্রাস হয়নি। এই কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের নতুন অধিকার দিয়েছে। ”
মন্ত্রী এও বলেন যে, কৃষকদের প্রতি সরকারের অত্যন্ত শ্রদ্ধা রয়েছে এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এই সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক আলোচনা করেছেন। সাংসদ বলেন, "সরকার সব বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত … তবে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমার আবেদন, দয়া করে এটিকে আর শাহিনবাগ বানিয়ে তুলবেন না।"
রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু পরই কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল হয় সভা। ৫ ঘন্টার আলোচনাও দাবি করে বিরোধীরা। রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন যে সরকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আমরাও রাজি আছি আলোচনায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন