আগামী অক্টোবরের মধ্যে তথ্য সুরক্ষা অডিট করে ফেলতে হবে। টেলিকমিউনিকেশন দফতর বা ডট টেলিকম অপারেটরসদের এই মর্মেই নির্দেশিকা দিতে চলেছে। তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিৎ করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। সূত্র অনুসারে, টেলিকম নেটওয়ার্কে 'ব্যাক ডোর' বা 'ট্র্যাপ ডোর' ইনস্টল করে তথ্য হাতিয়ে তা পাচার করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তথ্য সুরক্ষা অডিট করতে বলা হবে।
Advertisment
টেলিকমিউনিকেশন দফতরের এক আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'ফোর-জি ও অন্যান্য পুরনো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চিনা ভেন্ডাররা একাধিক দেশের টেলিকম নেটওয়ার্কে 'ব্যাক ডোর' বা 'ট্র্যাপ ডোর' ইনস্টল করেছে। আমাদের নেটওয়ার্কে এ ধরনের কোনও ফাঁক নেই- এ বিষয়ে আমরা দ্বিগুণ নিশ্চিৎ হতে চাই।'
রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল, এমটিএনএল-কে ইতিমধ্যেই তথ্য সুরক্ষা অডিট করতে নির্দেশ দিয়েছে ডট। নির্দেশ মত পদক্ষেপও শুরু করেছে দুই সংস্থা।
ভারতী এয়ারটেল নেটওয়ার্কের প্রায় ৩০ শতাংশ চিনা টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নিয়ে গঠিত। ভোডাফোন আইডিয়া ৪০ শতাংশ চিনা টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ব ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড, মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেডও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, এমনকী থ্রি-জি ও পুরনো নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ও জেডটিই সরঞ্জাম ব্যবহার করে।
ভারতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালুর ক্ষেত্রে গত বছর ডিসেম্বরের তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন যে, হুয়াওয়ে এবং জেডটিই সহ সকল টেলিযোগাযোগ সংস্থাই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে। তবে গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পরে তা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি এ দেশে চিনা সংস্থাগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে। প্রথমে ৫৯গুলো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে আরও ৪৭টি চিনা ক্লোন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত।
সতর্কতামূলk পদক্ষেপ হিসাবেই ডট রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম সংস্থাগুলোকে তথ্য সুরক্ষা অডিট করতে বলেছে। বিএসএনএল ও এমটিএমএল-কে চিনা সামগ্রী ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। একই বিষয বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলোকেও জানানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল ডট। তবে এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। নেটওয়ার্কের পরীক্ষা যেন ইন্ডিয়ান কম্পিউটার রেসপন্স টিম-কে দিয়ে করানো হয় সেই মর্মেও নির্দেশ দিতে পারে টেলিকমিউনিকেশন দফতর বা ডট।