পৃথিবীজুড়ে করোনা আতঙ্ক। সেই থাবা ভারতেও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারণ জীবাণু ঠেকাতে সাবধানতা হিসাবে সোশাল মিডিয়ার পর্দয় নান উদ্যোগের কথা। করোনাভাইরাস নিয়ে সাংবাদিক অবন্তিকা ঘোষের মুখোমুখি ডঃ আনন্দ কৃষ্ণাণ
প্রশ্ন: সবার আশা যে গরম বাড়লেই করোনার প্রকোপ কমবে। আপনি কী মনে করেন?
উত্তর: রোদের তাপে জীবাণুর প্রাদুর্ভাব কমবে বলে মনে হয়। তবে, তা কতটা তা আন্দোজ করা সম্ভব নয়। যাই হোক না কেন, এটা অন্তত বলা যেতে পারে যে, করোনা এ দেশে ভায়াবহ নয়।
প্রশ্ন: জীবনযাত্রার বিচারে ভারতীয়দের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। সোশাল মিডিয়ায় এমনই বলা হচ্ছে। এটা কী সত্যি?
উত্তর: এটা একদমই আবোল তাবোল কথা। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কোনও প্রতিরোধ ক্ষমতাই বিশেষ কাজ করে না। এটা নতুন ধরনের ভাইরাস। এই ভাইরাসের মাধ্যমে দ্বিতীয় সংক্রমণ হওয়া সম্ভব কিনা তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কিছু সংক্রামিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রথম সংক্রমণের পরে আজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া যায়, অন্য ক্ষেত্রেও তা নাও ঘটতে পারে। হতেই পারে যে, অন্য কোনও ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট পূর্বের সংক্রমণ করোনভাইরাস থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা দিল।
প্রশ্ন: করোনা জীবাণু থেকে বাঁচতে অনেকেই নিরামিশাষী হয়ে গিয়েছেন। ভাইরাস ঠেকাতে
উত্তর: ভাইরাস ঠেকাতে খাদ্য তালিকায় বদল ফলদায়ক- এমন কোনও প্রমাণ নেই। খাবার সংক্রমণের উৎস নয়। বাইরে খাওয়াদাওয়া যারা অভ্যাসে পরিণত করেছেন তাদের ক্ষেত্রে আলাদা কথা, নইলে বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এনমকী মাংসের কোনও পদ ভাল করে রান্না করলেও ভয়ের কিছু নেই।
প্রশ্ন: রসুন, হলুদ বা মধুর কী গুণ কী এক্ষেত্রে কার্যকরী?
উত্তর: এগুলি খুব সাধারণ ধারনা। আমরা বহু বছর ধরে রসুন খাচ্ছি। যদি রসুনের সত্যিই প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা থাকে তবে আমাদের কারোরই কোনও রোগ হত না। এই সবের সঙ্গে করোনার কোনও যোগ নেই।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে, সামাজিক মেলামেশা এড়িয়ে চলতে। এ বিষয়ে আপনার কী মত?
উত্তর: সাধারণত সংক্রমণ মেলা মেশার ফলে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা। করোনা জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতে দেড় থেকে দু'ফুট দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন