দেশে গর্ভপাত আইনে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে মোদী সরকার। এ জন্য মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি (এমটিপি) আইন, ১৯৭১-এ বেশ কিছু রদবদল ঘটাতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। গর্ভপাতের সময়ের ঊর্দ্ধসীমা বাড়িয়ে ২০ সপ্তাহ থেকে ২৪ সপ্তাহ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, গর্ভনিরোধক ওষুধ কাজ না করার কারণে গর্ভসঞ্চার হওয়ায় যদি গর্ভপাতের প্রয়োজন হয়, তবে এবার থেকে 'যেকোনও মহিলা এবং তাঁর সঙ্গী' আইনসঙ্গতভাবে তা করতে পারবেন। এতদিন কেবল 'বিবাহিত মহিলা এবং তাঁর স্বামী'ই ওষুধ কাজ না করার কারণে আইনতভাবে গর্ভপাত করাতে পারতেন।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করতে ভারতের ১০ দিনও লাগবে না’, হুঙ্কার মোদীর
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এমটিপি বিলের একটি ড্রাফট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিতরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে অনুমোদনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভাকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমান গর্ভপাত আইন যা প্রায় পাঁচ দশক পুরানো, সেখানে ২০ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের অনুমতির উল্লেখ রয়েছে। এমটিপি আইন, ১৯৭১-এর সেকশন ৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, "কোনও চিকিৎসকের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা বন্ধ করা যেতে পারে, ১। যেখানে গর্ভাবস্থার সময়সীমা যদি বারো সপ্তাহের বেশি না হয়, অথবা ২। সময়সীমা কুড়ি সপ্তাহের বেশি নয়, তবে সেক্ষেত্রে দু'জন চিকিৎসকের মতামত থাকা বাঞ্ছনীয়। উল্লেখ্য, গর্ভাবস্থার সময়ে গর্ভবতী মহিলার জীবন ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। যদি গর্ভবতী মহিলার শারীরিক কোনও অসামঞ্জস্যতা থাকে, সেক্ষেত্রে শিশুর জন্মের সময় শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, অপরাধী চিনবে স্টেশনের ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ ব্যবস্থা
সাম্প্রতিক সময়ে গর্ভপাতের জন্য ২০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গর্ভধারণের সময়কাল বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ অবধি গর্ভপাতের জন্য একজন স্বীকৃত চিকিৎসক মতামতের প্রয়োজনীয়তার প্রস্তাবও রয়েছে বিলের খসড়াতে। বিলে আরও বলে হয়েছে যে ধর্ষণের শিকার, অত্যাচারিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের উর্ধসীমা ২০ সপ্তাহ থেকে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
Read the full story in English