দীর্ঘ বছর অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন উপারবেদা গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের মেয়ে রাষ্ট্রপতি পদপার্থী হতেই তড়িঘড়ি গ্রামে বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। ওড়িশা সরকার রবিবার ময়ূরভঞ্জ জেলার এনডিএ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী, দ্রৌপদী মুর্মুর পৈতৃক গ্রাম উপারবেদা গ্রামের একটি অংশে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করেছে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি এই সংক্রান্ত খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই হুশ ফেরে প্রশাসনের। তবে এই মুহূর্তে দ্রৌপদী মুর্মু ওই গ্রামে থাকেন না। তিনি রায়রংপুরে স্থানান্তরিত হয়েছেন। যা তার জন্ম ভিটে থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, টাটা পাওয়ার নর্থ ওডিশা ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (টিপিএনওডিএল) আধিকারিক ও কর্মীরা শনিবার গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৩৮ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ৯০০ মিটার তার, ট্রান্সফরমার মেশিন সহ এদিন সকালে উপারবেদা গ্রামে পৌঁছান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কুসুমি ব্লকের উপরবেদা গ্রামে বাদশাহি এবং ডুংগুরিসাহি দুটি অঞ্চলের মধ্যে বাদশাহি গ্রামে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। কিন্তু অন্ধকারে রয়েছে ডুংগুরিসাহি। ডুংগুরসাহিতে বসবাসকারী ২০ টি পরিবারে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। খবর অনুসারে জানা গিয়েছে মোবাইল চার্জ দিতেও গ্রামের বাসিন্দাদের পাশের গ্রামে যেতে হয়। ভরসা বলতে শুধু কেরোসিন।
আরও পড়ুন : <পদ্মে মোহভঙ্গ? হাত-রাজ্যে এবার ঢালাও বিনিয়োগ আদানি-আম্বানিদের>
দ্রৌপদী মুর্মুর ভাগ্নে বিরিঞ্চি নারায়ণ টুডু দুই সন্তান, স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন ডুংগুরসাহিতে । তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বহুবার কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বারবার আবেদন জানানোর পরেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি। এবিষয়ে বিরিঞ্চির স্ত্রী বলেন, ' অনেকবার নানা জায়গায় জানিয়েও কোন লাভ হয়নি, আমাদের অন্ধকার এখনও মেটেনি'। তবে স্থানীয় লোকজনের বিক্ষোভের পর রাজ্য সরকার এখন গ্রামে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে, NDA রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন।