এশিয়া-আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় দেশগুলিকে নিয়ে ‘গ্লোবাল সাউথ’ গড়ে উঠেছে। আর সেই ‘গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে ভারত। দিল্লিতে G20- বিদেশমন্ত্রীদের এক বৈঠকে মোদী এক ভাষণে একথা বলেন। এদিনের এই বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালিনা বিবোককে স্বাগত জানান। বৈঠকে অংশ নিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন তিনি।
সৌদি আরব, চীন, ইন্দোনেশিয়া, স্পেন এবং ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে পৌঁছেছেন। G20 তালিকাভুক্ত দেশের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক শুরুর আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। G-20 বৈঠকের শুরুতে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি-২০ গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আমি আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, একসঙ্গে আমরা সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারব।”
ভাষণে মোদী বলেছেন, “আমাদের সকলকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে বহুপাক্ষিকতা আজ সংকটের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, “গত কয়েক বছরে, আর্থিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারী, সন্ত্রাসবাদ এবং যুদ্ধ স্পষ্টভাবে দেখায় যে বিশ্বশাসন ব্যবস্থা তার উদ্দেশ্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে এই ব্যর্থতার করুণ পরিণতি সবচেয়ে বেশি ভোগ করছে উন্নয়নশীল দেশগুলি। প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন যে এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল ঐক্য, উদ্দেশ্য এবং কর্মের ঐক্যের উপর জোর দেওয়া। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে একত্রিত হওয়ার চেতনাও এই বৈঠকে প্রতিফলিত হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত কয়েক বছরে আর্থিক সংকট হোক বা জলবায়ু পরিবর্তন, শুধু তাই নয়, করোনার মতো মহামারী জীবন ও অর্থনীতিতেও খারাপ প্রভাব ফেলেছে। G-20 সম্মেলনের সময় বিদেশী মন্ত্রীদের সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন আমরা আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি ক্রমাগত অনুসরণ করে চলেছি। এর জন্য আমাদের কিছু ঝুঁকি নিতে হবে, কোন ভাবেই আমরা পিছপা হচ্ছি না। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণের বোঝা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আজ সারা বিশ্বের চোখ G-20- সম্মেলনের দিকে। উন্নয়ন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা, আর্থিক সহায়তা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্তি, খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের মতো চ্যালেঞ্জ কমানোর ব্যাপারে বিশ্বের একাধিক দশ এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। G-20 অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুরোপুরি সক্ষম, এটা আশা করা যায়।