‘রকেট লঞ্চার আমার ডিজাইন’ হানিট্রাপের ফাঁদে পড়ে জারা দাসগুপ্ত নামে জনৈক পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য ভাগ করে নিয়েছিলেন পুণেতে কর্মরত ডিআরডিওতে কর্মরত বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। ইতিমধ্যেই ATS তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। এটিএস সূত্রে জানা গেছে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, ভয়েস কল, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার অপারেটিভদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। জানা গেছে যে চার্জশিটে কুরুলকার এবং "জারা"র মধ্যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল, ইউসিএভি, অগ্নি ৬ সহ একাধিক ক্ষেপনাস্ত্রের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে তথ্য আদান প্রদান হয়।
অভিযোগপত্রে, ATS অভিযোগ করেছে যে শীর্ষ বিজ্ঞানী পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে গোপনীয় এবং সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করেছেন। যা দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। এটিএস আরও অভিযোগ করেছে যে তার অ্যান্ড্রয়েড সেল ফোনে ডিআরডিওর কাজের তথ্য এবং নথি সংরক্ষিত ছিল, যা নিয়মের বিরুদ্ধে। অভিযোগপত্রে জানা গেছে, কুরুলকার তার DRDO-এর নিরাপত্তা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন।
ATS-এর তরফে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও, ডিআরডিও আধিকারিক তার পদের অপব্যবহার করে সংবেদনশীল সরকারি গোপনীয়তার সঙ্গেআপস করেছেন, যা শত্রু দেশের হাতে পড়লে ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি, ATS অভিযোগপত্রে বলেছে, দুজনে ই-মেল এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমেও যোগাযোগ রাখতেন। যোগাযোগের জন্য পাকিস্তানের একজন ব্যবহারকারীর "জিমেইল" অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে ওই পাক এজেন্ট কুরুলকারকে "ভিডিও কল" করার জন্য তার সেল ফোনে "bingechat.net" এবং "cloudchat.net" ডাউনলোড করতে বলেছিল। গত ৩রা মে কুরুলকারকে গ্রেফতার করে ATS এখনও অবধি, এটিএস ২০৩ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করেছে। কুরুলকার বর্তমানে ইয়েরওয়াদা জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।