মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) পুনেতে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)-র এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে। ওই আধিকারিক পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার হানিট্র্যাপে পা দিয়েছিলেন বলেই মনে করছেন এটিএস কর্তারা। তিনি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র-সহ ডিআরডিওর বেশ কয়েকটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি তথ্যের গোপনীয়তার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র পুলিশের এক উচ্চপদস্থ এটিএস আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে ডিআরডিও থেকে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে এটিএস। পুলিশকর্তা আরও বলেন, 'বুধবার ওই ডিআরডিও আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পুনের এক আদালতে তাঁকে হাজির করানো হয়। তাঁকে এটিএসের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডিআরডিও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে।'
মহারাষ্ট্র পুলিশের আধিকারিক আরও বলেন, 'প্রাথমিকভাবে এটি হানিট্র্যাপের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ধৃত ব্যক্তি এক সিনিয়র বিজ্ঞানী। তিনি পাকিস্তানের এজেন্টদের খপ্পরে পড়েছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মহিলাদের ছবি ব্যবহার করে ওই আধিকারিককে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে ধৃত বিজ্ঞানী ভয়েস বার্তা এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে পাকিস্তানের এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল তথ্যও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে তদন্তে মনে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ফের যোগীর পুলিশের ‘এনকাউন্টার’, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ত্রাস অনিল দুজানা ‘খতম’
এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক অফিসারকে পাকিস্তান হানিট্র্যাপে ফেলেছিল বলেই অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, এমন ধরনের অভিযোগে রাজস্থান থেকে পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সেনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান গ্রেফতার হয়েছেন। পাকিস্তানের পাশাপাশি, চিনের বিরুদ্ধেও ভারতীয় সেনাকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের হানিট্র্যাপে জড়ানোর অভিযোগ বারবার উঠেছে। বিভিন্ন সময় এই সব অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছেন একাধিক সেনা আধিকারিক এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। এমনকী, বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদেরও বারবার হানিট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।