হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানকে গোপন তথ্য পাচার। প্রশ্নের মুখে DRDO বিজ্ঞানীর ভূমিকা, মহারাষ্ট্র ATS-এর হাতে গ্রেফতার DRDO-র R&D Establishment (Engineers)-এর ডিরেক্টর প্রদীপ কুরুলকার।
হানি ট্র্যাপে ফাঁদে পড়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে তথ্য পাচারের অভিযোগ। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা Defence Research and Development Organization বা DRDO-র বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড বা ATS, শত্রু দেশে কী কী তথ্য পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র ATS বৃহস্পতিবার পুনের DRDO-র R&D Establishment (Engineers)-এর ডিরেক্টর প্রদীপ কুরুলকারকে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। DRDO-এর এই দফতর ক্ষেপণাস্ত্রের লঞ্চার, অত্যাধুনিক রোবট, মানববিহীন মোবাইল সিস্টেম ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের উপর গবেষণা চালায় ।
এটিএস সূত্রের খবর, বিজ্ঞানী কুরুলকারকে হানি ট্র্যাপের ফাঁদে ফেলে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিং সংস্থা। (পিআইও) । এরপর অভিযুক্ত বিজ্ঞানী প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে তুলে দেন। সূত্রের খবর গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার অজান্তেই হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েছেন। তিনি ভিডিও চ্যাট এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এর পরে, এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় ডিআরডিওকে।
এবিষয়ে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে, ডিআরডিও-র ভিজিল্যান্স বিভাগ তদন্ত শুরু করে এবং একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। ভারতের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে এই রিপোর্টের কথা জানানো হয়েছে। এর পর মহারাষ্ট্র ATS বিষয়টি তদন্ত শুরু করে বিজ্ঞানী ডক্টর কুরুলকারকে গ্রেফতার করে। কুরুলকার চলতি বছরের নভেম্বরে অবসর নিতে চলেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই- সূত্রে খবর এটিএস-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে বিজ্ঞানী সচেতন ছিলেন তিনি যে তথ্য প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠাচ্ছেন তা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তা সত্ত্বেও তিনি পাক ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য দেন। এর ভিত্তিতে, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ধারায় মুম্বইয়ের এটিএসের তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।