Advertisment

চোখের সামনেই ধুলিস্যাৎ শত্রু ট্যাঙ্ক! বিধ্বংসী মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ডিআরডিও-র

গত ফেব্রুয়ারিতেই দেশীয় প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল ডিআরডিও। ওই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে হেলিনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
DRDO, Missile Test, Tank

সেই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ। ছবি: ট্যুইটার

শত্রু দেশের ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করল ডিআরডিও। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সেনার আর্সেনালকে আরও শক্তিশালী করল। এমনটাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর। নিমেষে শত্রু দেশের ট্যাঙ্ককে ধুলিস্যাৎ করার ক্ষমতা রাখে এই মিসাইল। জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি হালকা-বহনযোগ্য। শত্রু ট্যাঙ্ক চিহ্নিত করতে ইনফ্রারেড লাগানো।

Advertisment

বুধবার পরীক্ষণের সময় দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে চোখের নিমেষে ধ্বংস করছে।লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে যে টানাপড়েনের আবহ চলছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশীয় প্রযুক্তির এই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতীয় সেনার জন্য একটা বড় সুখবর। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ডিআরডিও।

গত ফেব্রুয়ারিতেই দেশীয় প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল ডিআরডিও। ওই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে হেলিনা। এদিকে, গত জুনে অগ্নি সিরিজের নয়া মিসাইল ‘অগ্নি প্রাইম’-এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। ২৮ জুন, সকাল ১০.৫৫ মিনিটে ওড়িশা উপকূলে অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ডিআরডিও। এর ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আরও বলীয়ান হল ভারত।

ভূমি থেকে ভূমি এই ক্ষেপনাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। অগ্নি প্রাইম ১ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নিশানায় নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের বিরুদ্ধে হামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে এই ক্ষেপনাস্ত্রটিকে। অগ্নি-৩ এর তুলনায় নয়া প্রজন্মের অগ্নি প্রাইমের ওজন প্রায় ৫০ শতাংশ কম। ওজনে হালকা হওয়ায় রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্রটি ছোঁড়া যাবে।

রিং-লেজার জাইরোস্কোপের উপর ভিত্তি করে আগ্নি প্রাইমের নেভিগেশন সিস্টেমটি তৈরি হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটির দুই স্তরেই সমন্বিত রকেট মোটর রয়েছে এবং গাইডেন্স সিস্টেমগুলি ইলেক্ট্রোমেকানিকাল অ্যাকিউইটরে সজ্জিত। ফলে এই ক্ষেপনাস্ত্রের মারণ ক্ষমতা আগের দুই সংস্করণের থেকে অনেকটাই বেশি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indian army DRDO Anti-Tank Missile Test Fire
Advertisment