বেড়েই চলেছে উদ্বেগ! পাঞ্জাবে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি জায়গায় চলতি বছর ড্রোনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পাঞ্জাবে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারের জন্য ড্রোন ব্যবহারের প্রথম ঘটনা ২০১৯ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল। তারপর থেকে ড্রোনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ৫৫৩ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) চলতি বছর ১০টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, যার মধ্যে তিনটি গত সপ্তাহে গুলি করে নামানো হয়। এ ছাড়াও অনেক ড্রোনের অনুপ্রবেশ বানচাল করা হয়েছে।
সেনা বাহিনীর এক উর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন, "এখন পর্যন্ত, ১৫০ টিরও বেশি ড্রোন কার্যকলাপ সনাক্ত করা হয়েছে,"। পাশাপাশি তিনি বলেন, “গত ১৪ অক্টোবর অমৃতসরের শাহপুর সীমান্ত চৌকির কাছে একটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয় এবং ১৬ এবং ১৭ অক্টোবর অমৃতসর সেক্টরে দুটি ড্রোন গুলি করা করে নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : < সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনে কার্গিলে প্রধানমন্ত্রী, দেশবাসীকে আলোর উৎসবে শুভেচ্ছা মোদী-মুর্মু’র >
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্ট চোরাকারবারীরা চাইনিজ ড্রোন ব্যবহার করছে, যেগুলোর শব্দ খুবই কম এবং খুব উঁচুতে উড়তে পারে। সেনা সূত্রে খবর ১৪ ই অক্টোবর যে ড্রোনটি গুলি করা হয়েছিল সেটি একটি কোয়াডকপ্টার (ডিজেআই ম্যাট্রিক্স)।
বেশিরভাগ ড্রোন কার্যকলাপ অমৃতসর এবং তারন তারান জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ঘটেছে তবে ফিরোজপুর ও গুরুদাসপুর এলাকায়ও ড্রোনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন যে এই বছর বিএসএফ পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তারন তারান এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত একটি গ্যাংকে আটক করেছে।
বিএসএফ ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশকারী ড্রোনগুলিকে গুলি করার জন্য জওয়ানদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বছরের এপ্রিলে, বিএসএফ পাকিস্তান থেকে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারের জন্য ড্রোনের ব্যবহার রিপোর্ট করার জন্য ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।