শিলিগুড়ি: বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে হঠাৎ একটি ড্রোন উড়ে এসে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফাঁসিদেওয়াতে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়া থানার তাওয়াজোত এলাকায়। স্থানীয়রা প্রথম ড্রোনটি দেখতে পায়।এরপর তারাই খবর দেয় পুলিশে। এরপরই ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ এসে ড্রোনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ড্রোনের মধ্যে কোনরকম মেমোরি কার্ড না থাকায় চিন্তায় দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে থাকায় বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে চাইছেন না জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএসএফ কর্তারাও। ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ফাঁসিদেওয়া থানায় যান দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী, এসএসপি সিআইডি ( অজয় প্রসাদ, ডিএসপি সিআইডি গৌতম ঘোষাল সহ বিএসএফ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসিদেওয়া ঘোষপুকুর হয়ে শিলিগুড়ি ঢোকার ঘণ্টাখানেক পর তাওয়াজোত এলাকায় লাল রঙের ড্রোন পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রোনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় ড্রোনের মধ্যে থাকা মেমোরিকার্ডটি উধাও। এরপরই পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে। খবর যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তাদের কাছে। এরপর ডিজির নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে ফাঁসিদেওয়া থানায় পৌঁছায় দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার, এসএসপি সহ রাজ্য পুলিশের একাধিক কর্তা। থানায় পৌঁছন বায়ুসেনা এবং বিএসএফের কর্তারাও। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ ও বিএসএফের কর্তারা। এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ষষ্ঠী পাল ও সমীরণ পাল নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ড্রোনটি কোন দিক থেকে এসেছিল তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। ড্রোনের মেমোরি কার্ড খোয়া যাওয়ায় চিন্তিত পুলিশকর্তারা। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ড্রোনটি পাঠিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।