অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে ড্রোনের ব্যবহার করে, AIIMS ঋষিকেশ থেকে তেহরি গাড়ওয়ালে টিবি ওষুধ নিয়ে গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে দুই কেজি ওজনের ওষুধ ৩০ মিনিটে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। সাধারণত এই দূরত্ব অতিক্রম করতে আগে ২ ঘন্টারও বেশি সময় লাগত। এখন ড্রোনের মাধ্যমে সহজেই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। শীঘ্রই এইমস দিল্লি থেকে ঝাজ্জারের ক্যান্সার হাসপাতালে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ট্রায়াল সম্পন্ন হবে বলেও জানা গিয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকার ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।
গত বুধবার ঋষিকেশ এইমসের হেলিপ্যাডে ড্রোন পরিষেবা পরীক্ষা্মূলক ভাবে চালু করা হয়েছিল, তা বেশ সফল হয়। তার পরেই এইমস ঋষিকেশ থেকে তেহরি গাড়ওয়ালে টিবির ওষুধ পৌঁছেছে এই ড্রোন পরিষেবার মাধ্যমে। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সহজে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যাবে বলেই আশাবাদী সরকার।
ড্রোনের সাহায্যে ঋষিকেশ থেকে তেহরি গাড়ওয়াল পর্যন্ত টিবির ওষুধ সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ড্রোন ব্যবহার করে ৩০ মিনিটে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে দরিদ্রদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। মাত্র ৩০ মিনিটে দুই ঘন্টার জার্নি কভার করা হবে। যে সব এলাকায় এখনও রাস্তা তৈরি হয়নি, সেখানেও ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া খুবই কার্যকর বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই সুবিধার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টিবি-মুক্ত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন অসহায়দের কাছে ওষুধ সহজলভ্য হবে। ভারতকে টিবি মুক্ত করার সংকল্প নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই রোগে মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতকে টিবি রোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্রমাগত পরিকল্পনা নিয়ে চলেছেন।