যে কেউ বানাতে পারছে ড্রোন। ফলে এই আনম্যানড ভেহিকেল সহজলভ্য হওয়ায় বেড়েছে নিরাপত্তা ঘাটতির আশঙ্কা। জম্মু সেনাঘাঁটির ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন দেশের সেনা প্রধান। আন্তর্জাতিক এক সংস্থার ওয়েবিনারে এদিন উপস্থিত ছিলেন জেনারেল এমএম নারাভনে। সেখানেই তিনি বলেন,‘বিভিন্ন রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশহীন সংগঠন (নন স্টেট অ্যাক্টর) এখন অনেক সহজেই ড্রোন হাতে পেয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে।’ তবে প্রতিরোধী ড্রোন ব্যবহার করে এই ধরণের হামলা আগামিদিনে প্রতিহত করবে ভারত। এমন মন্তব্য করেন তিনি। জেনারেল নারভনে বলেছেন, ‘হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন এবং প্রতিরোধী ড্রোনের কার্যকারিতা আমাদের ভবিষ্যত যুদ্ধ কৌশলের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে।’
জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটি হামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে, তা থেকে স্পষ্ট সীমান্ত পেরিয়েই ওই ড্রোন নাশকতা চালিয়েছিল। এই সীমান্ত পারের ড্রোনের মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার দ্বিমুখী কৌশলের ইঙ্গিত দিলেন সেনা প্রধান। প্রথম, আকাশে শত্রু ড্রোনের উপস্থিতি চিহ্নিত করে সেটি গুলি করে নামানো। দ্বিতীয়, সামরিক ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথেই হামলকারী ড্রোনের মোকাবিলা।
জম্মুর ঘটনার পর একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আকাশপথে ড্রোন হামলা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। সেই প্রশ্নের জবাবে জেনারেল নারাভনের আশ্বাস, ‘উপত্যকায় যেকোনও হামলা মোকাবিলায় শক্তিশালী পরিকাঠামো রয়েছে ভারতীয় সেনার।’ গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মধ্যরাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বোমারু ড্রোন হামলা চালায়।
তাতে বায়ুসেনার দুই কর্মী আহত হয়েছেন। বায়ুসেনার প্রযুক্তি বিভাগ ভবনের উপরে প্রথমটি এবং খোলা জায়গায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সীমানা পেরিয়ে বোমাবাহী আধুনিক ড্রোনদু’টি এসেছিল জম্মুর আকাশে। যুদ্ধবিমান ও লাইটওয়েট হেলিকপ্টার ধ্বংসই ছিল এই হামলার লক্ষ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন