ফের ড্রোনের হানা জম্মুর রত্নুচক এলাকায় সুঞ্জবান সেনাঘাঁটিতে। সোমবার গভীর রাতে এই ড্রোন দেখা গিয়েছে। তবে সরকারিভাবে এর সত্যতা এখনও জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে একেবারে ভোর রাতে আড়াইটে নাগাদ হানা দিয়েছিল ড্রোনটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই গায়েব হয়ে যায় সেটি।
এই নিয়ে পরপর ৩ দিনে তিনবার জম্মুর সেনাঘাঁটিতে ড্রোনের দেখা মিলললো। রবিবারও রাতে জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালান সেনা আধিকারিকরা। পালিয়ে যায় দু’টি ড্রোন। কীভাবে সেনা ঘাঁটি এলাকায় ড্রোনগুলো এসে তা ফের উথসে ফিরে যাচ্ছে তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। শনিবার রাতে সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে অনুমান। যদিও ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের কোনও অস্তিস্ব তদন্তকারীরা খুঁজে পাননি।
ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের বম্ব ডেটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের অনুমান, শনিবার রাতে জম্মু সেনা ঘাঁটির বিস্ফোরণে ২ কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল। আরডিএক্স বা ওই জাতীয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরকের মাধ্যমেই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এই ড্রোনগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। প্রাথমিক অনুমান, পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আসতে পারে। তবে ড্রোনগুলো সেদেশের নয়, চিন হয়তো ভারতে নাশকতার লক্ষ্যে এই শক্তিশীলী এই ড্রোন পাকিস্তানকে দিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন