ওমিক্রন ভীতি বিশ্বজুড়ে। নয়া করোনা ভ্যারিয়েন্টের থাবা ইউরোপে। বাদ নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই এ দেশেও ২৫ জনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস মিলেছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের দেহে উপসর্গ রয়েছে, বাকিরা উপসর্হগীন। এই পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে সংক্রমণ। আশঙ্কা কেন্দ্রের। করোনা সংক্রমণ গত কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রণে এলেও মাস্কের ব্যবহার কমছে। বর্তমানে মাস্ক ব্যবহারের অবস্থা প্রাক করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকেও খারাপ। চরম অসতর্কতা। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে ভারতে। সতর্ক করেছেন কেন্দ্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডাঃ ভি কে পাল।
সব ধরণের করোনা ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণ রোধ করতে সার্বিকভাবে মাস্কের ব্যবহারই একমাত্র ভ্যকসিনের কাজ করবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডাঃ ভি কে পাল। তিনি বলেছেন, 'ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ট এভেলিউশনের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে মাস্কের ব্যবহার কমেছিল। কিন্তি এপ্রিল-মে মাসে সংক্রমণ হু হু করে বাড়তেই আমাদের সকলের সম্বিত ফেরে। ভয়ে সবাই মাস্ক পড়তে শুরু করে।'
করোনা টাস্ক ফোর্স প্রধানের সাবধানবাণী এমন এক সময়ে এলো, যখন ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশে কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধি বেড়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণও নজরে পড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মাস্কের ব্যবহারের সতর্কতা গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ ভি কে পালের আশঙ্কা অসতর্ক হলেই সংক্রমণ ফের বিস্ময়রূপে ধরা দেবে।
তিনি বলেছেন, 'গত বছর আগস্টে সংক্রমণের হার কমেছিল। চলতি বছর ডিসেম্বরের পরিস্থিতি সেরককমই। পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্চের মাত্রার তুলনায় সংক্রমণের হার আরও কমেছে। সঙ্গে বেপরোয়া মানসিকতায় মাস্কের ব্যবহারও কমেছে। আর এতেই ঝুঁকির কবলে ভারত।' ভীতি নয়, মাস্কের ব্যবহার , কোভিডবিধি মেনে চলা ও ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ সকলকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাঃ পাল।
আইসিএমআর প্রধান ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেছেন, 'ওমিক্রন প্রিরোধে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের কার্যকরিতা কতটা রয়েছে তার পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে। তবে ওমিক্রন নিয়ে এখনই ভীতির কোনও কারণ নেই। তবে সরকারি উদ্যোগ ও মানুষকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন