৫০ কেজির সোনার প্রতিমায় মেতেছে মহানগর। কিন্তু দেব-দেবীদের ২২০ কেজির সোনা ও হিরের গয়না পরিয়ে রীতিমতো চমকে দিল শহর বর্ধমান। জানা যাচ্ছে, এই গয়নার বাজার দর প্রায় ৮১ কোটি টাকা। আর এই খবর সামনে আসার পরেই এবারের পুজোয় অলঙ্কারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ গয়না রক্ষা করতে বর্ধমানের এই পুজোতে নিরাপত্তা বাবদ বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
এবার দুর্গাপুজোয় মহানগর কলকাতাকে টক্কর দিতে চলেছে শহর বর্ধমান। ২২০ কেজির সোনা ও হিরের গয়নায় সেজে উঠেছে সবুজ সংঘের প্রতিমা। কলকাতার বাইরে দক্ষিণবঙ্গে দুর্গাপুজোয় এমন গয়নার সম্ভার সম্ভবত এই প্রথম। এই মন্ডপে তাই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এসএলআরধারী নিরাপত্তাকর্মীরা সর্বদা ঘুরে বেরাচ্ছেন মন্ডপের ভিতরে এবং বাইরে।
গয়নায় সেজেছে মা দুর্গা। ছবি- মনতোষ পোদ্দার
ক্লাবের সম্পাদক বাপি বসুর কথায়, "এক বছর ধরে গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর বিষয়টা অনুমোদন পেয়েছে। ২২০ কেজি সোনা ও হিরের গয়না পরানো হয়েছে দেব-দেবীদের। দক্ষিণবঙ্গে এই প্রথম এত পরিমাণ গয়না থাকছে দুর্গাপুজোয়। আমাদের এবারের থিম এক টুকরো লণ্ডন। লণ্ডনের বিগ বেন টাওয়ার ক্লকের আদলে তৈরি হয়েছে মন্ডপ।"
কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে?
বাপি বসু বলেন, "৩০ সেপ্টেম্বর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরী করা হয়েছে। ৩৫-৪০টি সিসি টিভি রয়েছে প্যান্ডেলের ভিতর, বাইরে ও পিছনে। তিনটে ৫২ ইঞ্চি টিভিতে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। মন্ডপের ভিতরে ১০ জন বন্দুকধারী পুলিশ রয়েছে। শুধু বন্দুকই নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এসএলআর-ও থাকছে। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীও থাকছেন। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করতেই খরচ পড়ছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।"