কাউন্টডাউন শুরু, মাস পেরোলেই ঢাকে পড়বে কাঠি। দুগ্গা দুগ্গা বলার আগেই পুজোর উপহার দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের দুর্গাপুজোয় নয়া চমক দিলেন মমতা। শহরের ৩,০০০ এবং গ্রামবাংলার ২৫,০০০ পুজো কমিটিকে বিশেষশ অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের সমস্ত সার্বজনীন পুজো কমিটিগুলিকে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে সোমবার ঘোষণা করলেন মমতা। শুধু তাই নয়, জেলার ২৫,০০০ পুজো কমিটিগুলিকেও ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে রাজ্যের ২৮,০০০ পুজোর জন্য ২৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান মমতা।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রাক পুজো বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "টাকাটা নেহাত কম নয়, ২৮ কোটি টাকা লাগবে। যাই হোক, মোটা কাপড় মোটা ভাত দেওয়ার ক্ষমতা তো আছে।" অন্যদিকে, শুধু অনুদানই নয়, শহরের পুজো কমিটিগুলোর জন্য আরও উপহার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পুজোয় কোনও লাইসেন্স ফি লাগবে না, একথাই এদিন ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবছর রেড রোডে পুজো কার্নিভালেও চমক থাকছে। এবার রেড রোডে কার্নিভালে ৭৫টি পুজো অংশ নেবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছর এই সংখ্যাটা ছিল ৫৫। আগামী ২৩ অক্টোবর বিকেল চারটেয় রেড রোডে পুজো কার্নিভালের আসর বসবে। অন্যদিকে, এ বছর দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর।
আরও পড়ুন, ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে এবার পুজোয় বাড়তি যান যন্ত্রণা?
প্রাক পুজো বৈঠকেও বিজেপি-কে নাম না করে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "উৎসব সবার জন্য। ২১ তারিখ মহরম রয়েছে, তার আগে ৯-১০দিন ধরে মিছিল হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করবেন। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এখন একটা উদ্ভট দলের আবির্ভাব হয়েছে, যারা মানুষে মানুষে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়।" বিজেপি-কে বিঁধে মমতা আরও বলেন, "যাদের কাজ নেই, কর্ম নেই, শুধু মিথ্যা কথা বলে, সোশাল সাইটে ফেক নিউজ ছড়ায়।" মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "ওরা দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়। আগুন লাগানো সহজ, তা নেভানো মুশকিল। কাউকে আগুন নিয়ে খেলতে দেব না।"
অন্যদিকে, মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে ওই এলাকায় পুজোয় ট্রাফিকের কী হাল হবে তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এদিন কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার বলেন, "এটা একরকম চ্যালেঞ্জ। আশা করছি আমরা চ্যালেঞ্জ ফেস করতে পারব। ট্রাফিক পুলিশের তরফে আশ্বস্ত করছি, কোনও অসুবিধা হবে না। আগের বছর দর্শনার্থীরা যেমন ভাবে ঠাকুর দেখেছিলেন, এবারও সেরকম হবে।"