টিকা-বুস্টারেও কাজ দিচ্ছে না। আগে ওমিক্রন আক্রান্ত হলে ফের করোনা হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা যা তথ্য পেয়েছেন, তাতে এমনই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ফলে, যথারীতি কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের। তাঁরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু সমীক্ষা চালিয়েছেন। তারপরই এমন দাবি করছেন।
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে বিশেষ এক ব্যক্তির করোনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। ওই ব্যক্তি থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। নভেম্বরে তাঁর করোনা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাতে সেটাই ছিল প্রথম। তাঁর থেকেই বাকিদের মধ্যে করোনা ছড়ায়। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা কেন এমনটা বলছেন! কারণ, Omicron BA.1 ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেই রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল। সেই অ্যান্টিবডিগুলোকে ধ্বংস করেই ভাইরাস ছড়িয়েছিল।
তারপর করোনা মুক্ত হওয়ার পর আক্রান্তকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাতেও রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যা সেই ভাইরাস এবং আসল SARS-CoV-2 ভাইরাসকে রুখতে পারে। কিন্তু, ওমিক্রনও তো রূপ বদলাচ্ছে। তা-ও তো পাশাপাশি চেষ্টা করছে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলোকে এড়িয়ে সংক্রমণ ঘটাতে। আর, তাতেই বাড়ছে আশঙ্কা। চিনের গবেষকদের রিপোর্টে অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- রক্তারক্তি নয়, প্রচারেই বাজিমাত, লিসিচানস্ক ছিনিয়ে নিল রাশিয়া, তাজ্জব সকলে
যেমন আমেরিকায় এখন যে করোনাটা ছড়াচ্ছে তা হল, Omicron BA.2.12.1, BA.5 এবং BA.4 ভাইরাস। বর্তমানে আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের অন্তত ২১ শতাংশ এই সব ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়েছেন। যা করোনার আগের সংস্করণ BA.1 এবং BA.2 থেকে অনেকটাই আলাদা। তাহলে, আগের ভাইরাসকে মাথায় রেখে যে টিকা তৈরি হয়েছে, সেই টিকা বা বুস্টার কীভাবে করোনার নতুন সংস্করণ রুখবে?
এই আশঙ্কাটা বিজ্ঞানীদের অনেকদিন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু, বর্তমানে যখন দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়া, বুস্টার নেওয়া ব্যক্তিরা ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে আমেরিকার মত প্রথম বিশ্বের দেশে। সেখানে, রীতিমতো তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিচ্ছেন আগের আশঙ্কাটা একেবারেই ভিত্তিহীন ছিল না।
Read full story in English