কেঁপে উঠল দিল্লি। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৪। শুক্রবার রাতের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নেপালে মৃত্যু মিছিল। আর তার প্রভাব পড়ল ভারতেও। দিল্লি এনসিআর সহ উত্তর ভারতের একাধিক এলাকায় গতরাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এই ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পর আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
হঠাৎ করে ভূমিকম্পের জেরে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাড়িঘর ও অফিস ছেড়ে খোলা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য এখনই জানা যায়নি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি একটি এক্স পোস্টের মাধ্যমে ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাত ১১টা ৩২ মিনিটে ৫৪ সেকেন্ডে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৬.৪। তবে এই ভূমিকম্পের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ধাক্কা অনুভূত হয়। তবে সেই তীব্রতা আগের চেয়ে কম ছিল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, দুপুর ১২.১৪ মিনিটেও ৩.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- < শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও! এক মাসে তিনবার কম্পন, নেপথ্যের কারণ কী? >
নয়ডা, এনসিআর-এ ভূমিকম্প হলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। নেপালে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে বিহারেও। বিহারের রাজধানী পাটনায় ভূমিকম্প হলে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পাটনার স্থানীয় মানুষ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে হঠাৎ করেই বাড়িঘর, বিছানা কাঁপতে শুরু করে এবং সিলিং ফ্যানও দুলতে শুরু করে। ভূমিকম্প হয়েছে বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। গত মাসেও দিল্লি এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
শুক্রবার রাতের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নেপালে মৃত্যু মিছিল। পশ্চিম নেপালে ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের জেরে শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নেপালের পাহাড়ি গ্রাম জুড়ে জোরদার তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। ওই এলাকা থেকে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, অনেক জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নেপাল সেনাবাহিনী এবং নেপাল পুলিশ উভয়েরই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। কম্পনের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং এর আফটারশকগুলি উদ্ধারকারীদের কাজে বেশ সমস্যা তৈরি করেছে।