Earthquake in Uttarakhand: শনিবার সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপালের বিস্তৃর্ণ অংশ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৮। ভারতীয় সময় ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জুমলা জেলায় মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও এখনো পর্যন্ত ভূমিকম্পের জেরে কোনো প্রাণ বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি (এনসিএস) এই তথ্য দিয়েছে এবং আরও জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএসের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল জুমলা জেলায়। পার্বত্য দেশ নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। ১৭ এবং ১৯ ডিসেম্বরও নেপালের পার্বত্য অঞ্ছলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
নেপাল গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, নেপালে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১২৯ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এই ভূমিকম্প পশ্চিম নেপালের জারকোট এবং রুকুম জেলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে, যাতে প্রায় ১৫০ জন আহত হয়। অনেক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয় । ২০২৩ সালে, অক্টোবর মাসে নেপালে ক্রমাগত বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ৬.২ মাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চল সহ উত্তর ভারতের অনেক জায়গায়ও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এর এক বছর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বরে, ডোটি জেলায় ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ছয়জন মারা গিয়েছিল। এর আগে ২০১৫ সালে, ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পার্বত্য দেশে ১২০০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এদিকে নেপালের ভূমিকম্পে জেরে কেঁপে উঠল উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখণ্ড। শনিবার ভোররাতে ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী জেলা পিথোরাগড় ৷ ভূমিকম্পের জেরে ছড়িইয়ে পড়ে চরম আতঙ্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। প্রায় ১৫ সেকেন্ড ধরে এই কম্পন অনুভূত হয়। জেলায় এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসেনি। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটে আসেন।