Earthquake-Himachal Pradesh: অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। (ছবি- টুইটার)
Earthquake strikes Himachal Pradesh’s Lahaul and Spiti: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশের লাহৌল এবং স্পিতি। কম্পনের মাত্রা ৩.২। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে খবর, ধস এবং বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন। হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন অবশ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে সিমলা, মান্ডি এবং কুলুতেই অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisment
Earthquake-Landslide: ওয়ানাদে মৃতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। (ওয়ানাদে উদ্ধারকাজের ছবি)
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। পাশাপাশি, সিমলায় মেঘ ফেটে ব্যাপক বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির কারণে বহু গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। হিমাচলের অনেক জায়গায় রাস্তা ও সেতু ভেসে গেছে। প্রবল জলের তোড়ে মান্ডি থেকে মানালিতে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপরই উদ্ধার ও ত্রাণকাজে গতি আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সিমলা, মান্ডি, কুল্লু, চাম্বা এবং অন্যান্য জেলাগুলোতে উদ্ধারকাজ তীব্র হয়েছে। সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে হিমাচল প্রদেশে চরম দুর্যোগ এবং দুর্বিপাকের সতর্কতা জারি করা রয়েছে। বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ধসপ্রবণ এলাকায় জারি করা হয়েছে বিপদ সতর্কতা। প্রশাসনের তরফে হিমাচল প্রদেশে চরম দুর্যোগ এবং দুর্বিপাকের সতর্কতা জারি করা রয়েছে। বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ধসপ্রবণএলাকায় জারি করা হয়েছে বিপদ সতর্কতা। তবে, শুধু হিমাচলপ্রদেশই নয়। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বর্তমানে অতিবৃষ্টি, জল জমে যাওয়া, বন্যা এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত। কেরলের ওয়ানাদে সাম্প্রতিক ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা শুক্রবার বেড়ে হয়েছে ৩০৮। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডে আবার ভারী বর্ষণ এবং ভূমিধসে ১৪ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে আবার শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো হেলিকপ্টারে চেপে পরিদর্শন করেছেন।