আগামী কয়েকদিনে লকডাউন কী কিছুটা হলেও শিথিল করা হবে? লকডাউনের পরেইবা কীভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা চলবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। সূত্রের খবর, আপাতত কোনও সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। করোনার প্রকোপ আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কেমন থাকে প্রথামিকভাবে তা বিচার করেই লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা।
Advertisment
লকডাউন দিনের পর দিন চলতে পারে না। আবার প্রত্যাহার করা হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অসম্ভব। ফলে ছড়িয়ে পরতে পারে করোনাভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথের নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য বৈঠকে বসে মন্ত্রিগোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পর্যালোচনা করে লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
বর্তমানে দেশের মোট ৭০০ জেলার মধ্যে ২০০-র কিছু বেশি জেলায় করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সূত্র বলছে, স্থান ওপ্রভাব বিচারে বিভিন্ন এলায়ায় করোনার মোকাবিলা চলছে। বড় শহরের তুলনায় ছোট শহর বা গ্রামে ভিন্ন ধারায় করোনা মোকাবিলা চলবে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে, শপিং মলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অসম্ভব। তাই অন্তঃরাজ্য যাতায়াত চালু করে যেতে পারে। কিন্তু, সেটা বাস্তবে অসুবিধাজনক। তাই সব দিক বিবেচনা করেই লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Advertisment
লকডাউনের পরে শাসন পরিচালন ব্যবস্থা কীবাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নিয়েও মন্ত্রিগোষ্ঠী আলোচনা করে। লকডাউনের মাঝেও অত্যাবশ্যাকীয় পণ্যে সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবতা হল যে, লকডাউনের ফলে বহু মানুষের রুজু রুটিতে টান পড়েছে। ফলে দীর্ঘকালীন লকডাউন লাগু কার্যত অসম্ভব। তবে, সংক্রমণের হার বেড়েছে। যা বিপদের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রাথমিক বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে করোনার দ্বিতীয় পর্যায় বলে বিবেচিত। তবে, লকডাউনের পর কীভেব ট্রেন চালু করা সম্ভব তা নিয়ে জোনাল অফিসগুলোকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কতা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। মোদীর সহ্গে কথা হয়েছে ভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদেরও। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে লকডাউন নিয়ে আলোচনায় রাজ্যগুলিকেই কমন এক্সিট স্ট্র্যাটেজি খুঁজে বার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।