নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার বিরুদ্ধে ফের পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদ্যুৎ মন্ত্রকে থাকাকালীন লাভাসা কোনওরকম প্রভাব খাটিয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে যাচাই করে দেখার জন্য ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে (পিএসইউ) চিঠি দিল সরকার। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ মন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন লাভাসা।
জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ মন্ত্রকে সচিব পদে কর্মরত ছিলেন আইএএস অফিসার লাভাসা। সে সময় তিনি নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি সংস্থাকে লাভের মুখ দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে ১৪টি সংস্থার নাম নথিভুক্ত করেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর পদে ছিলেন লাভাসার স্ত্রী নভেল লাভাসা।
আরও পড়ুন: সামনেই অযোধ্যা রায়, দলীয় নেতাদের জন্য আচরণবিধি জারি বিজেপির
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অশোক লাভাসা বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এসব ব্যাপারে কিছু জানি না’’।
প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার স্ত্রী তথা প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী এন এস লাভাসাকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এরপর নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ছেলে ও বোনকেও নোটিস পাঠানো হয়। এছাড়া নোটিস পাঠানো হয় নৌরিশ অর্গ্যানিক ফুড লিমিটেড নামে এক সংস্থাকে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওই সংস্থার ডিরেক্টর অশোক লাভাসার ছেলে আবির লাভাসা। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার শেয়ার আবিরের দখলে থাকলেও সেগুলি আসলে কর্মীদের।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নির্বাচন কমিশনের ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।
Read the full story in English