করোনা আক্রান্ত কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী হাজিরার জন্য ইডির কাছে সময় চেয়েছিলেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। কিন্তু, কংগ্রেস সভানেত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহেই (সোমবার) তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বছর ৭৫-এর সনিয়াকে বাড়িতে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্সকরা।
সেসব জানিয়ে ইডিকে বুধবারই চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। চিঠিতে হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেদন মেনে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কংগ্রেস সভানেত্রীকে সুস্থ হয়ে হাজিরার জন্য প্রায় মাসখানেক সময় দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। জুলাইয়ের শেষের দিকে ইডির কাছে হাজিরা দিতে হবে কংগ্রেস সভানেত্রীকে।
গত ৮ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গান্ধীকে হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু, ২ জুন সনিয়া গান্ধীর করোনা ধরা পড়ে। তার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরবর্তী নোটিস জারি করা হয় ২৩ জুন। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। পাঁচ দিন ধরে দীর্ঘ ৫৪ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
যা কার্যত হয়রানি বলেই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দলীয় নেতৃত্ব রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্ররোচনায় কংগ্রেস নেতাদের হেনস্তা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেস নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- অসমে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ, নতুন করে মৃত ১২
গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে এই তদন্তের কারণ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপুল আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটির মালিক ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। যা আসলে গান্ধী পরিবারের মালিকানাধীন। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধেই উঠেছে বিপুল আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ।
২০১৩ সালে অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত আয়কর দফতরকে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই কঠোর পিএমএলএ আইনে নতুন মামলা দায়ের করে এই আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
Read full story in English